আপাদমস্তক সোনায় মোড়া, রচনার প্রচারে নজরকাড়া ‘লঙ্কা রাজা’, পরিচয় জানেন?
এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
গলায়, হাতে সোনার অলঙ্কারে ঠাসা। সহজে তাঁকে ‘গোল্ডম্যান’ বলাই যেতে পারে। ভোট প্রচারে নজর কাড়ছেন সোনায় মোড়া লঙ্কা রাজা। হুগলি জেলার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আদ্যোপান্ত সোনায় মোড়া এই তৃণমূল কর্মীর অবশ্য প্রতিপত্তির হিসেব শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।কথায় বলে, ‘সোনে কি লঙ্কা’। আর এনার নাম লঙ্কা রাজা। তবে তিনি সোনার লঙ্কার রাজা রাবণ নন। তাঁর আসল নাম সুনীল দাস। এলাকায় সকলে তাঁকে লঙ্কা রাজা বলেই চেনেন। যেই রাখুক স্বার্থক নাম। তাল তাল সোনা গায়ে পরে ঘোরেন তিনি। অনেকেই, আবার মজা করে বলেন, তাঁকে একনজরে দেখলে বাপ্পি দার (গায়ক বাপি লাহিড়ী) কথা মনে পড়তে বাধ্য। সেই লঙ্কা রাজা নজর কাড়লেন রচনার প্রচারে।
শুকরিয়া চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই আমেদাবাদ গ্রামে রচনার প্রচার সঙ্গী ছিলেন লঙ্কা রাজা। গলায় সরু মোটা নানা ধরনের চেন ঝোঁলে সর্বক্ষণ। তাঁর সঙ্গে রয়েছে শিব, কালী, বজরঙবলি, গণেশের লকেট। দুই হাতে নানা ধরনের ব্রেসলেট, বালা, আঙুলে আংটি, হাতে ঘড়ি। কালো পোশাকে চকচক করছে সোনার অলংকার।
'ছুটিতে এসেছে...', পালটা লকেটকে তোপ রচনার
ভয় করে না এত সোনা পড়ে ঘোরেন? প্রশ্ন শুনে লঙ্কার জবাব, ‘ভয় করবে এমন লোকের সঙ্গে মিশি না।’ কত সোনা আছে শুনি? কত আছে মাপা নেই। আমার সখ তাই পরি। সব জায়গাতেই এত পরিমাণ সোনার অলঙ্কার গায়ে পরে ঘোরেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস দলের কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। হুগলি জেলার একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী হাজির থাকেন দলের একাধিক কর্মসূচিতে। এদিনও দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দেখা গেল তাঁকে।
তবে, তাঁর এত পরিমাণ অর্থ সমাগমের উৎস কী? জানা গিয়েছে, সুগন্ধার কামদেবপুর গ্রামে বাড়ি তাঁর। এলাকায় চাষবাস এবং সঙ্গে রয়েছে শেয়ার কেনাবেচার ব্যবসা। সেই থেকেই লক্ষ্মী লাভ হয় তাঁর। এর পাশাপশি এলাকায় জমি কেনাবেচার কাজের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। তবে এত পরিমাণ সোনার অলঙ্কার পরে থাকা তাঁর যেমন একটি শখ। সেরকমই আরও একটি শখ রয়েছে তাঁর। সেটি হল বুলেট বাইক। জানা গিয়েছে, মোট সাতটি বুলেট বাইক রয়েছে তাঁর। সেই বুলেট নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় তাঁকে।