ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি, ভগবানগোলার ‘ভূমিপুত্র’ রেয়াত হোসেনই বাজি তৃণমূলের
এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার রাজ্যের দুটি বিধানসভা উপ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা কেন্দ্র থেকে রেয়াত হোসেন সরকারকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্র জেতার জন্য ‘ভূমিপুত্র’ উপরেই ভরসা রাখল শাসক দল।মুর্শিদাবাদ জেলার এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন ইদ্রিস আলি। তাঁর মৃত্যুর পর এই কেন্দ্রের উপ নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। নির্বাচন কমিশন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই এই কেন্দ্রে উপ নির্বাচন সংগঠিত করার দিনক্ষণ ঘোষণা করে। মুর্শিদাবাদ ভগবানগোলা কেন্দ্রের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর কেন্দ্রেও উপ নির্বাচন সংগঠিত হবে।
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে ভগবানগোলা-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। ২০২৩ এর ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ আসনে জয়ী হন। বর্তমানে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। রেয়াত হোসেন সরকারের পারিবারিক কৃষি জমি ও ব্যবসা রয়েছে।
ইদ্রিস আলির ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী কে হবে এই নিয়ে জল্পনা ছিলই। তবে জেলা বা পঞ্চায়েত স্তর থেকে কাউকে তুলে আনা হবে বলে খবর ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। সেইমতো জেলা পরিষদের সদস্যকেই এই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী হিসেবে বেছে নিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রেয়াত হোসেন সম্প্রতি ভগবানগোলা ১ ব্লকের দলের সভাপতি হয়েছেন। এই ভগবানগোলার প্রতিটি অঞ্চল তাঁর নখদর্পনে। সেই কারণে এবার তাঁকেই বিধানসভা উপ নির্ব্বাচনের জন্য বেছে নেওয়া হল বলে জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ৬৮ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইদ্রিস আলি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিকে এক লাখের বেশি ভোট হারিয়েছিলেন তিনি। মজবুত সংগঠনের উপর ভর করে এই কেন্দ্রে এবারেও সহজ জয় আসবে বলেই মনে করছে স্থানীয় তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। এই কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপিও এই কেন্দ্রে স্থানীয় নেতার উপরেই ভরসা রেখেছে। বিজেপির তরফে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে ভাস্কর সরকারকে। যুব সংগঠন থেকে উঠে আসা ভাস্কর সরকারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ভাস্কর সরকার স্থানীয় যুব মোর্চার সদস্য। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল এবং বিজেপির দ্বিমুখী লড়াই হবে কিনা, সেটাই দেখার অপেক্ষায় এলাকার বাসিন্দারা।