• ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন? জানালেন নওশাদ
    আজ তক | ৩০ মার্চ ২০২৪
  • ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী প্রার্থী কে? আপাতত এ প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা রাজ্যে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি তো বটেই আইএসএফ-ও অভিষেকের কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেয়নি। কয়েক মাস আগেই আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দীকী দাবি করেছিলেন, ডায়মন্ড হারবারে তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন। সেই তিনি বলছেন,'দল এখনও অনুমোদন দেয়নি'। 

    কয়েক মাস আগে থেকেই তিনি বলে আসছিলেন, ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন। কিন্তু, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেও নওশাদ কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না? নওশাদ বলেন,'প্রথম দিনে আমার যে আত্মবিশ্বাস ছিল, আজও সেই আত্মবিশ্বাসই আছে। আমি একশো শতাংশ দিয়ে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত আছি। শুধুমাত্র দলের অনুমোদনের অপেক্ষা। দল অনুমোদন দিলেই ওখানে আমি লড়াই করব। বর্তমান যিনি বিদায়ী সাংসদ আছেন, তাঁকে হারাব। ওখানে হারের কোনও প্রশ্নই নেই। আমি লড়াই করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন'। 

    নওশাদ সিদ্দিকী লড়াই করতে চাইলে কি দলের অনুমোদন দরকার? তাঁর বক্তব্য, ওটা অন্য রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে হতে পারে। একটা পোস্ট বাকি ল্যাম্পপোস্ট। আমাদের দল খুব বড় নয়। তবে দলে গণতন্ত্র রয়েছে। রাজ্য কমিটি আছে'। তৃণমূল বলছে আপনি ভয় পাচ্ছেন? তাঁর কথায়,'৪২ দিন জেলে রেখে যাকে ভয় পাওয়াতে পারেনি, সে ভয় পাবে না'।

    বিরোধীরা প্রার্থী দেয়নি ওই আসনে, তারা কি আপনার অপেক্ষায়? নওশাদ বলেন, 'কোন দল রাজনৈতিক দল কী করবে, সেটা আমি বলতে পারি না'। 

    এত যখন আত্মবিশ্বাস তখন কেন প্রার্থী হচ্ছেন না? নওশাদের বক্তব্য,'আমি তো দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত। দলে একটা গঠনতন্ত্র আছে। আমার দলের মধ্যে মতানৈক্য হয়েছে। রাজ্য কমিটির অন্য সদস্য, আমার প্রার্থী হওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে। আর কয়েকদিন পর দলের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা আসবে, তখনই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে'। 

    উল্লেখ্য, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার আসনে কোনও দলই প্রার্থী দেয়নি। আইএসএফের বিধায়ক ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হলে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। যদিও আইএসএফ ও সিপিএমের জোটের আলোচনায় ডায়মন্ড হারবার নিয়ে কোনও কথাই হয়নি বলে জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেছিলেন,'ডায়মন্ড হারবার নয়, যাদবপুর আসন চেয়েছিল আইএসএফ'। ওদিকে, ডায়মন্ড হারবারে নওশাদ প্রার্থী হলে সমর্থন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু নির্বাচনের প্রাকলগ্নে বিরোধী শিবিরে ডায়মন্ড হারবার নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই নেই। এই বিলম্ব কি ভোটের লড়াইয়ে অনেকটা পিছিয়ে দেবে না বিরোধীদের? উঠছে প্রশ্ন। 
  • Link to this news (আজ তক)