রণজয় সিংহ: বিজেপির সমর্থনে দেওয়াল লিখন। আর তাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প ‘লক্ষ্মী ভান্ডারের’ উল্লেখ। শুধু তাই নয় ক্ষমতায় আসলে লক্ষ্মী ভান্ডারের অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তিন হাজার টাকা করা হবে। এমনই প্রতিশ্রুতি বিজেপির সমর্থনে দেওয়াল লিখনে।মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের পুরাতন মালদা পুর এলাকা জুড়ে মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খগেন মুর্মুর সমর্থনে এমনই দেওয়াল লিখন দেখা গিয়েছে। এই দেওয়াল লিখন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করা হচ্ছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে।
উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুরাতন মালদা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেই বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে তিন হাজারে কথা বলে মানুষকে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের।বিজেপির উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত জানিয়েছেন, ‘দল যেটা বলে সেটাই করে। এই ধরনের দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে যা বলা হয়েছে তা একেবারেই বাস্তব। এখানে কোনও রকম নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়নি। বরঞ্চ আমরা বলতে পারি যেসব রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আছে সেখানকার পড়ুয়া থেকে গৃহবধূরা একাধিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন’।তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীর সমর্থনের যে দেওয়াল লিখন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বাস্তব। আমরা এখনও জোর গলায় বলতে পারি। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা আসলে লক্ষীর ভান্ডারে তিন হাজার করেই পাবেন মহিলারা’।তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানিয়েছেন, ‘এর আগেও মোদী সরকার অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তার আজও বাস্তব হয়নি। গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢোকেনি। কর্মসংস্থান হয়নি। বেকারত্ব বাড়ছে দেশে। এমনকি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। অথচ এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পটি আমাদের দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেটাকেই নকল করে ওরা প্রচার চালাচ্ছে’।তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের মুখে মানুষকে এভাবেই প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পুরো বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে যথাযথভাবে অভিযোগ জানানো হবে’।উল্লেখ্য, এবারে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন খগেন মুর্মু। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন ব্যানার্জি। এছাড়া কংগ্রেস দলের প্রার্থী রয়েছেন মোস্তাক আলম।