শর্তসাপেক্ষে পাকিস্তানি মহিলাকে হুগলিতে থাকার অনুমতি হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ৩০ মার্চ ২০২৪
গোবিন্দ রায়: ভিসার মেয়াদ শেষের পরও ভারতে থেকে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি মহিলা। যার জেরে দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন মনোয়ারা বেগম নামে ওই পাক নাগরিক। শর্তসাপেক্ষে তাঁকে মুক্তি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি তিনি নিজের বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা হুগলির চণ্ডীতলার বাড়িতে থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে ভারতে এসেছিলেন মনোয়ারা বেগম। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও দেশে না ফেরায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। গত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে শাস্তির মেয়াদ শেষ হলেও জেলে থেকে যান মনোয়ারা। বর্তমানে তিহার জেলেই রয়েছেন তিনি। বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে এরপর বাধ্য হয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মনোয়ারা। আদালতে তাঁর আবেদন, চণ্ডীতলার বাড়িতে তাঁর পরিবার রয়েছে। তিনি মেয়াদ শেষে অযথা জেলে না থেকে পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান।
যদিও আদালতে রাজ্য ও কেন্দ্রের দাবি, নিয়ম মত মেয়াদ শেষে তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান তাঁকে নিজের দেশের নাগরিক হিসাবে ফেরত নিতে অস্বীকার করায় এই প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে। তাই তিহারে জেলবন্দি হিসেবে নয়, বিদেশি নাগরিক হিসাবেই জেলে পৃথকভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই পাক নাগরিকের।
এই মামলায় আদালতের মত, একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ করা সঠিক নয়। তাই সাজা শেষ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানি নাগরিক হলেও তিনি নিজের ঠিকানায় থাকতে পারবেন। তবে এদেশে থাকার শর্ত সাপেক্ষে আদালতের নির্দেশ, তিনি জেলা ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না এবং সপ্তাহে একদিন স্থানীয় থানায় গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিয়ে আসতে হবে।