ভোট যত এগিয়ে আসে ততই বাড়ে কুকথার রাজনীতির পারদ। একে অপরকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পালা চলে। বিতর্কিত মন্তব্য করতেও পিছুপা হন না রাজনীতিকরা। কখনও কখনও 'আবেগের বশে' নেতা-নেত্রী বেঁফাস মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে পড়ে দলও। এবার বিতর্কিত মন্তব্য কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়কের। মহিলার বিজেপি প্রার্থীর উদ্দেশ্যে বেফাঁস মন্তব্যে করে বিতর্কে জড়ালেন ওই নেতা। মহিলা বিজেপি প্রার্থী উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ, '....ওঁরা শুধু রান্নাঘরে রান্নাটুকুই করতে পারেন।'কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্যের পর চুপ করে থাকেনন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের। কংগ্রেস আসলে মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না বলে তোপ দেগেছেন তাঁরা। পাল্টা আক্রমণ, কংগ্রেসে আসলে মহিলাদের ক্ষমতায়নে আমল দিতে চায় না। শুক্রবার দলীয় কর্মীদের সভায় বক্তব্য রাখার সময় কংগ্রেস বিধায়ক শামানুর শিবশঙ্করপ্পা বলেন, 'আপনারা নিশ্চয় সকলেই জানেন উনি নির্বাচনে জয়ের পর মোদীকে পদ্মফুল দিতে চেয়েছিলেন। প্রথমে তাকে দাভাঙ্গেরের সমস্যাগুলো বুঝতে দিন। আমরা এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। ওরা আসলে কথা বলতে জানেন না। শুধুমাত্র রান্নাঘরে রান্নাই করতে জানেন। বিরোধী দলের জনসমক্ষে কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বিরোধীদের।
উল্লেখ্য়, বিজেপি মনোনীত প্রার্থী গায়ত্রী সিদ্ধেশ্বরা লক্ষ্য করে বিতর্কিত মন্তব্যে করেন শিবশঙ্করপ্পা। গায়ত্রী সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিএম সিদ্ধেশ্বরার স্ত্রী।কংগ্রেসের বিধায়কের এহেন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গায়ত্রীও। বলেন, 'বর্তমানে মহিলারা সবদিকেই পারদর্শী। সর্বক্ষেত্রে নিজেদের ছাপ রাখছেন। তা সত্ত্বেও শিবশঙ্করপ্পার মতো নেতারা মহিলাদের ক্রমাগত অপমান করে চলেছেন।
মহিলাদের ক্ষমতায়ানে প্রধানমন্ত্রীর গুণগান গেয়ে গায়ত্রীর সংযোজন, 'মহিলারা আজ সর্ব ক্ষেত্রেই ছাপ ফেলছে। মনে হয় তা জানেন না শিবশঙ্করপ্পা। শিবশঙ্করপ্পা তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে নারীদের অপমান করেছেন। আমরা কি শুধু রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নারীর ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের মানুষ মহিলাদের অপমান করে চলেছেন।' উল্লেখ্য, শিবশঙ্করপ্পার পুত্রবধূ প্রভা মল্লিকার্জুন, ডেন্টাল সায়েন্সে স্নাতক, দাভাঙ্গের থেকে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী। দাভাঙ্গ দক্ষিণের পাঁচবারের বিধায়ক ৯২ বছর বয়সী শামানুর দলের সবচেয়ে বয়স্ক বিধায়ক।
মাস খানেক আগে কর্নাটক বিধান পরিষদের কংগ্রেস সদস্যে বিকে হরিপ্রসাদের বক্তব্য ঘিরে দানা বাঁধে রাজনৈতিক বিতর্ক। এআইসিসির প্রাক্তন মুখপাত্র হরিপ্রসাদ বলেন, 'পাকিস্তান বিজেপির কাছে শত্রু দেশ হতে পারে, আমাদের কাছে নয়।' হরিপ্রসাদের ওই মন্তব্যের পরেই বিধান পরিষদের বিজেপি সদস্যরা প্রতিবাদে সরব হন।