ভোটে কথা দেওয়ার সার! জলের পাইপে ইদুরের বাস রয়েই গেল...
২৪ ঘন্টা | ৩০ মার্চ ২০২৪
প্রদ্যুত দাস: ভোট আসে ভোট যায়। পিপাসা মেটে না সীমান্ত গ্রামের। জল প্রকল্পে জমি দাতা আজ পরিযায়ী শ্রমিক। জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের অন্তর্গত সাউথ বেরুবাড়ী অঞ্চল। যে গ্রামে শেষ হয় দেশের ভৌগলিক সীমানা, ওপারে বাংলাদেশ।স্বাধীনতার সময় থেকেই বহু বার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে এই সীমান্তবর্তী গ্রামটি। কখনও ছিট মহল আবার কখনও অ্যাডভার্স ল্যান্ড বিতর্ককে ঘিরে। তবে এবারের কাহিনী আশপাশের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে বসবাসকারী প্রায় ছয় হাজার মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের।
গত বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বোর্ড এর পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের করা পানীয় জলের দাবী মেটাতে উদ্যোগী হয়। দীর্ঘ দিনের জলকষ্ট মেটানোর কাজ শুরু হবে শুনেই এগিয়ে আসনে গ্রামের মেয়ে বাবলি দাস দে। জমি দান করেন জল প্রকল্পের জন্য, সেই থেকেই অপেক্ষা বিশুদ্ধ পানীয় জলে পিপাসা মেটানোর পাশপাশি, সরকারী চুক্তি অনুযায়ী জমি দাতা হিসেবে পরিবারের এক সদস্যের চাকরি, সে সবই এখনও বিষ বাও জলে, জীবিকার টানে নিজের ভাই আজ পরিযায়ী শ্রমিক।অপরদিকে সীমান্ত গ্রাম সাউথ বেরুবাড়ী অঞ্চলে নির্মিত নীল সাদা রঙের জলাধারটির সামনে দাড়িয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এলাকার বাসিন্দা লোকমান মণ্ডলের সাফ কথা, উন্নয়ন দাড়িয়ে আছে, ভোট আসছে যাচ্ছে, সরকারের পাঁচ কোটি টাকার জল প্রকল্পের পাইপে আজ ইদুরের বসবাস, আর গলা শুকিয়ে আরেকটি ভোটের লাইনে দাড়ানো সময় এল। সীমান্ত গ্রামের এই চার বছর আগে কাজ সমাপ্ত হয়ে পরে থাকা জল প্রকল্প টিও নাকি নির্বাচনী আচরণবিধি মধ্যে পরে গিয়েছে, এমনটাই জানালেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন।