কলকাতার দুই কেন্দ্রে প্রচার নিয়ে বিশেষ ‘টিপস’ মমতার, কী বললেন?
প্রতিদিন | ৩০ মার্চ ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার: ভোট ঘোষণার পরও যেভাবে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে বিরোধীদের উপর ‘জুলুমবাজি’ চালাচ্ছে তা ঘরে ঘরে প্রচারে দলীয় কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুধু তাই নয়, কোভিড থেকে শুরু করে ৩৬৫ দিন যে তৃণমূলই সমস্ত আপদে বিপদে প্রতিটি নাগরিকের পাশে তাকে তা প্রতিটি পরিবারকে আরও একবার মনে করিয়ে দিতে দলের জনপ্রতিনিধিদের বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
পার্কসার্কাস ময়দানে উদ্দীপনী সংস্থা আয়োজিত ইফতারে এসে একান্ত আলোচনায় উত্তরের নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দক্ষিণের বাবুল সুপ্রিয়কে ওয়ার্ড ধরে ধরে নানা পরামর্শ দেন তিনি। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের খবর নেন কাউন্সিলর অসীম বোসের কাছে। কারণ, ওই ওয়ার্ডের একটা বড় অংশের ভোটার গুজরাতি-রাজস্থানি। ৬৮, ৯০ ওয়ার্ডের পাশাপাশি গড়িয়া-সোনারপুরেও প্রচারে যেতে বলেন বাবুলকে। বালিগঞ্জ নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধের কাজে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবাশিস কুমারের সঙ্গেই কথা বলতে বাবুল সুপ্রিয়কে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রচার ও সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা নিয়ে নয়নাকে বিশেষ পরামর্শ দেন তিনি। নানা ওয়ার্ডের খবর নেওয়ার পর শেষে মেয়রের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ববি সবটা দেখে নিস।’ বরাবরের মতোই সবার পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন ফিরহাদ হাকিম।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঝে কয়েকদিন বাড়িতে থাকলেও তিনি যে কলকাতার সমস্ত খবর রেখেছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায় ইফতারে এসে বেহালার মেয়র পারিষদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খবর নেওয়ায়। এর পরই তিনি বরো চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাসের কাছে জানতে চান, তিনদিন ধরে তাঁর বাড়িতে চলা আয়কর হানার সময় খাবার কোথা থেকে এসেছে? বাচ্চারা কী খেয়েছে? উত্তরে জুঁই জানিয়েছে, ‘আয়কর হানায় আসায় অফিসার-কর্মীদের খাবারও তাঁরাই কিনে এনে দিয়েছেন।’
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে জুঁই অভিযোগ করেন, ‘‘বড় মেয়ে অনলাইনে ক্লাস করে যে ল্যাপটপে সেটি খারাপ করে দিয়ে গিয়েছে আয়কর হানায় আসা তদন্তকারীরা।’’ কেন্দ্রীয় এজেন্সির জুলুমবাজির কথা প্রকাশ্যে আনতে ডেরেককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার দুই প্রার্থীকে শরীর ঠিক রেখে প্রচার চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার নিজের গড়, নিজের কেন্দ্র কলকাতা দক্ষিণ, তাই একটু বেশি খোঁজ রাখেন তৃণমূল নেত্রী। বস্তুত সেই কারণে বেশ কিছু এলাকা নিয়ে মালাকে বিশেষ টিপসও দেন মুখ্যমন্ত্রী।