Prashant Kishor: লাভ না অ্যারেঞ্জ ম্যারেঞ্জ? ভোটকুশলীর জীবনসঙ্গী কে? অকপট প্রশান্ত কিশোর
এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর গুরুত্ব রয়েছে। তাঁর এক একটা শব্দেরও মান্যতা বহুগুন। একাধিক রাজনৈতিক দলের জয়ের নেপথ্য কাণ্ডারী তিনি। জয়ের পথের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে তাঁর তুলনা মেলা ভার। তাঁর কাছে যেন জয়ের সিন্দুকের চাবিকাঠিটা লুকনো রয়েছে। ভোটে জিতেত কোন পথে এগিয়ে 'ছাই ওড়ালে' মিলবে 'অমূল্য রতন' তার সন্ধান পেতেই তাঁরই শরণাপন্ন হন তাবড় তাবড় রাজনীতিকরা। তিনি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। একুশে তৃণমূলের জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে ফের তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, তার নেপথ্য কারিগর এই প্রশান্ত কিশোরই। রাজনীতিকদের সঙ্গে তার ওঠা-বসা। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন কেমন, স্ত্রী কে, স্ত্রীয়ের পেশা কী, কী ভাবে তাঁদের পরিচয়, কয় ছেলে-মেয়ে এসব সেভাবে কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এবার তা প্রকাশ্যে এল। সম্প্রতি 'আনফিলটার্ড বাই সমধীশ' চ্যানেলে ইউটিউবার সমধীশ ভাটিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অকপটে শেয়ার করে নিলেন তাঁর পরিবার-পরিজনের কথা।ভোটকুশলী এই সাক্ষাৎকারে নিজের স্ত্রীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও জানান, তাঁর স্ত্রী অসমের। পেশায় তিনি চিকিৎসক। একাধিক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তাঁর স্ত্রীয়ের নাম জাহ্নবী দাস। গুয়াহাটির বাসিন্দা তিনি। জাহ্নবী-প্রশান্তের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
কী ভাবে স্ত্রীয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল প্রশান্তের? দেখাশোনা করে তাঁদের বিয়ে হয় নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল আগে থেকে? জীবনে রোম্যান্স আছে? এর উত্তরে অকপটে পিকে বলেন, 'প্রেম থেকেই তাঁদের দু'জনের সম্পর্ক বিয়ের পরিণতি পায়।' রাজনীতিতে সারাক্ষণ ডুবে থাকেন প্রশান্ত। কীভাবে পরিবারের জন্য় সময় বের করেন? আদৌ করতে পারেন? উত্তর সহাস্যে ভোটকুশলীর জবাব, 'না সেভাবে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। এই নিয়ে অভিযোগ করে কখনও কখনও। ঝামেলা হয় টুকটাক। তবে পরিবারও সবটা মিলিয়ে অভ্য়স্ত হয়ে গিয়েছে।'
সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল তাঁর স্ত্রীও কি তাঁরই মতো কাজে ডুবে থাকেন? উত্তরে পিকে জানান, 'স্ত্রী স্মার্ট ওয়ার্ক, আর তিনি কঠোর পরিশ্রমী।' এনিয়ে তাঁদের মধ্য়ে মাঝেমধ্যে ঠাট্টা-তামাসাও হয় বলে জানিয়েছেন পিকে। বলেন, 'স্ত্রী আমায় প্রায়শই বলে আমার যতই বুদ্ধি থাকুক না কেন আমি কঠোর পরিশ্রম করতেই ভালোবাসি। কিন্তু ওর দাবি ও নাকি স্মার্ট ওয়ার্কার। তাই ওকে বেশি কাজ করতে হয় না।' সাক্ষাৎকারে ছেলের কথাও খানিক তুলে ধরেছেন পিকে। তাঁর ছেলে ক্লাস এইটে পড়ে। কয়েকদিন আগে বিহারে এসে পিকের পদযাত্রা দেখে গিয়েছে ছেলেকে। তবে আর পাঁচজন বাবার মতো ছেলের সারাক্ষণ মোবাইল বা স্ক্রিনে বুঁদ থাকা নিয়ে চিন্তিত পিকেও। বলেন, 'এসব নিয়ে ছেলেকে বলে লাভ নেই। ও কথা শুনবে না।'