• ‘প্রতিদ্বন্দ্বী কাউকেই মনে করি না’, প্রচারে রানি মার মুখে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
  • রাজা বলতে রাজা রামমোহন রায়, রানি বলতে রানি রাসমণিকে চিনি। বিরোধী প্রার্থী সম্বন্ধে এমনই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। পালটা, মহুয়া মৈত্রকে কোনও ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে মনে করছেন জানালেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়।শনিবার সকাল থেকেই নিজের কেন্দ্রের প্রচারে বেড়িয়েছেন রানি মা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আমি কাউকেই দেখছি না। আমি দুর্নীতি সরিয়ে আলোর পথে যেতে চাইছি। আমার লড়াই মানুষের জন্য এবং সমাজের জন্য।’

    কৃষ্ণনগরের রাজ বাড়ির ইতিহাস এবং ব্রিটিশদের সঙ্গে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে অমৃতা রায় প্রার্থী হতেই। এর মাঝেই বিজেপি প্রার্থীকে ফোন করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সমাজ সংস্কারক ছিলেন, যাঁর কথা পাঠ্য বইয়ে পড়ানো হতো বলে উল্লেখ করেন মোদী। সেই মন্তব্যের একপ্রস্থ সমালোচনা করেছেন মহুয়া মৈত্র। মহুয়া মৈত্র বলেছেন, রাজা বা রানি বলতে রাজা রামমোহন এবং রানি রাসমণিকেই চেনেন। সে বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা জানান, ‘এটা বাঙালীর লজ্জা।’

    Mahua Moitra on Amrita Roy : 'রাজা ও রানি বলতে আমি দুজনকে চিনি' মন্তব্য মহুয়া মৈত্রের

    শনিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পাত্র বাজারে ভোট প্রচারে বেরিয়ে প্রচার সারেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ পরিবারের সদস্যা অমৃতা রায়। ভোটে জিতে এলে তিনি কী কী কাজ করবেন, সেই নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, বেলেডাঙা ওভার ব্রিজের কথা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে এই ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা কথা তুলে ধরেন তিনি।

    পাশাপাশি, নদিয়া জেলায় কৃষ্ণনগর করিমপুর রেল লাইন নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে মানুষের। সংসদে গিয়ে সেই নিয়েও তিনি সরব হবেন বলে জানান বিজেপি প্রার্থী। তাঁর কথায়, সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর মুখে উঠে আসে, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর কথা। অনেক জায়গায় সংখ্যালঘু মানুষদের ভুল বোঝানো হচ্ছে, তাঁদের উন্নতির ব্যাপারেও মনযোগ দেওয়া উচিত, তুলে ধরেন সেই কথা।

    তবে তাঁর মুখে উঠে আসে একশো দিনের কাজের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে অমৃতা রায় বলেন, ‘আমাকে প্রধানমন্ত্রী একশো দিনের কাজ ঠিক করে রাখতে বলেছেন, সেটা আমি দেখবো। এছাড়াও এই কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।’ প্রচারের বেরিয়ে জনসংযোগ চলাকালীন ভালো সাড়া পাচ্ছেন, জেতার ব্যাপারে তিনি খুবই আশাবাদী বলে জানান রাজনীতিতে নবাগতা বিজেপি প্রার্থী।
  • Link to this news (এই সময়)