• প্রচারের ফাঁকে CPIM-এর পার্টি অফিসে হঠাৎ হাজির তৃণমূল নেতা, চাইলেন ভোটও!
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
  • ভোটের আবহে একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের। কিন্তু, এবার রাজনৈতিক সৌজন্যের সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া। দলীয় কর্মসূচির মধ্যেই CPIM-এর কার্যালয়ে ঢুকে বাম নেতার সঙ্গে দেখা করলেন তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে যখন যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলি পরস্পর আক্রমণে ব্যস্ত সেই সময় এই সৌজন্যের রাজনীতি যথেষ্ট ইতিবাচক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।সূত্রের খবর, দলের বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে বিবড়দা বাজার ও গ্রামে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করছিলেন তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায়।

    ঠিক সেই সময় বিবড়দা বাজার সংলগ্ন সিপিএম-এর কার্যালয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সেখানে সটান ঢুকে পড়েন তিনি। ঠিক ওই সময় অন্যান্য দিনের মতো দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে বসেছিলেন সিপিএম-এর তালডাংরা এরিয়া কমিটির সম্পাদক হারাধন ঘোষ। ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায়কে আসতে দেখে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান। পরস্পর-পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। সামান্য সময় কথাও হয় দু'জনের।

    ভোটের মুখে এই ধরনের সৌজন্যের রাজনীতি কি ইতিবাচক বলে মনে করছেন?হ্যাঁনাজানি না

    এই নিয়ে তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'বিবড়দা বাজারে নির্বাচনী প্রচারের মাঝেই CPIM কার্যালয়ে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখে সেখানে গিয়েছিলাম। বিজেপিকে হঠাতে ওঁদেরও আমাদের দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।'

    অন্যদিকে, রাজনৈতিক সৌজন্য নয়, নিজেদের স্বার্থেই তৃণমূল CPIM-এর দ্বারস্থ দাবি বিজেপির। 'বিদায়ী' সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এবারও বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার দাবি করছেন, 'মুমুর্ষু CPIM-কে তৃণমূল বাঁচানোর চেষ্টা করছে। CPIM যে ভাবে তৃণমূলের বিরোধিতা করে তা পুরোটাই 'নাটক', তৃণমূলের তরফে ওই দলকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।'

    এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে CPIM-এর তালডাংরা এরিয়া কমিটির সম্পাদক হারাধন ঘোষ বলেন, 'ওদের প্রচার কর্মসূচিতে সেভাবে কোনও লোকজন জোটেনি। আমরা দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম। ওঁরা হঠাৎই ঢুকে পড়ে। ওদের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু যারা আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে, মিথ্যা মামলায় নেতা-কর্মীদের ফাঁসায়, তাঁদের মুখে আর যাই হোক সৌজন্যের রাজনীতির কথা মানায় না।'
  • Link to this news (এই সময়)