'আগে সেতু তারপর ভোট', ভোট বয়কটের ডাক ধূপগুড়ির ২ গ্রামের বাসিন্দাদের!
২৪ ঘন্টা | ৩০ মার্চ ২০২৪
প্রদ্যুত্ দাস: আগে সেতু তারপর ভোট। সেতুর দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে ভোট বয়কটের ডাক ২ গ্রামের শতাধিক ভোটারের। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির ঘটনা। আগামী ১৯ এপ্রিল জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। আর তার আগেই জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলটা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও ঝাড় আলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১৪০০-র মত ভোটার একত্রিত হয়ে, ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগস্থল গিলান্দী নদীর উপর স্থায়ী ব্রিজের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন। এদিন ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু মানুষ একত্রিত হয়ে ঝাড় আলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুখ্য কার্যালয়ের অদূরে গিলান্ডি নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোর সামনে একজোট হয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ভোট বয়কটের ডাক দেন।দুই গ্রামের গ্রামবাসীদেরই অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে এভাবেই তাদের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার করতে হয়। দৈনন্দিন জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় থেকে শুরু করে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ সমস্ত কিছুতেই যেতে একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। যা বর্তমানে বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন, উপনির্বাচন এমনকি এর আগে লোকসভা নির্বাচনেও সামিল হয়েছেন এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ভোটের মুখে এসে নেতা মন্ত্রীরা একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু আজও বাস্তবায়ন হয়নি কোনও কিছুই। প্রসঙ্গত, এবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের সময় এই এলাকার সমস্যার কথা মাথায় রেখে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ধূপগুড়ির বিদায়ী বিধায়ক প্রফেসর নির্মলচন্দ্র রায়। প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের। তবে প্রতিশ্রুতি-ই সার। ২ গ্রামের মানুষেরই দাবি, আগামী ১৯ এপ্রিল ভোট উৎসবে তাঁরা সামিল হচ্ছেন না!এই গোটা ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি একে অপরকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত। এখন শুধু দেখার আগামী ১৯ এপ্রিল লোকসভা ভোটের দিন নির্বাচনে দুই গ্রামের প্রায় ১৪০০ ভোটার শেষপর্যন্ত ঠিক কোন অবস্থান নেন। ভোট দেন, নাকি ভোটদান থেকে বিরত থেকে ভোট বয়কট করেন।