Dengue Fever : শীত-বসন্তেও হচ্ছে ডেঙ্গি, বঙ্গে এখনও আক্রান্ত ৫৬০
এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
এই সময়: ঠান্ডায় মশার উপদ্রব কম থাকে। বিশেষত, ডেঙ্গির বাহক মশা এডিস ইজিপ্টাই তেমন একটা জন্মায় না শুষ্ক শীতল আবহাওয়ায়। কিন্তু তার মধ্যেও দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গি হচ্ছেই। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব বলছে, ভরা শীত-বসন্তেও ডেঙ্গি হচ্ছে অনেকেরই। নতুন বছরের প্রথম তিন মাসে (২১ মার্চ পর্যন্ত) বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৫৬০।বরাবরের মতোই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনে আয়োজিত ডেঙ্গি পর্যালোচনা বৈঠকে উঠে এল এই তথ্য। যদিও বিশেষজ্ঞরা অভয় দিয়ে বলছেন, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কেননা, বর্ষার পর ডেঙ্গি তাণ্ডব চালালেও রোগটা বিক্ষিপ্ত ভাবে এখন প্রায় সারা বছরই হয়।
শীত-বসন্ত তার ব্যতিক্রম নয় বলেই সংক্রমণটা এখনও হচ্ছে। তবে তা নিতান্তই কম। গত ২০২৩ সালে সারা বছরে যেখানে লক্ষাধিক আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই তুলনায় এ বছর তিন মাসে ৫৬০ জন আক্রান্ত হওয়ার আলাদা কোনও তাৎপর্য নেই। তাই পৌষ-মাঘ-ফাল্গুন-চৈত্রেও ডেঙ্গি হয়েছে।
কম সংখ্যায় হলেও আগামী দিনেও তা হবে। কিন্তু সংক্রমণটা মূলত মাথাচাড়া দেয় বর্ষায় এবং প্রকোপটা মাত্রা ছাড়ায় তার পর। সেই পরিস্থিতিতে যাতে রাশ টানা যায়, স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনায় জোর দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার। কারণ, পরিসংখ্যান বলছে, মার্চের প্রথম তিন সপ্তাহেই রাজ্যে মোট ১৬০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
গরম ও আর্দ্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়েই আনুপাতিক হারে বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা। ২১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগনার মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে ৮৭। এর পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ (৭৬) এবং তিন নম্বরে রয়েছে বাঁকুড়া (৫৬)।
তার পরে রয়েছে মালদা (৫৩), কলকাতা (৪৯) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৪২)। তাই এখন থেকেই ডেঙ্গি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন ও পুরসভাগুলিকে সতর্ক হতে বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।