Indian Navy Rescue Operation : জলদস্য়ুদের হাতে থেকে 'চিরশত্রু' পাকিস্তানকে রক্ষা, ভারতীয় নৌসেনার জয়জয়কার
এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
দেশকে নিরাপদ রাখতে বদ্ধ পরিকর ভারতীয় নৌবাহিনী। সমুদ্র পথে দেশকে নিরাপদ রাখতে নিরন্তর অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। অপারেশন সংকল্পের মাধ্যমে এর আগে বহুবার ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যুদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছে। আরও একবার একই ঘটনার পুনরাবৃ্তি হল।আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ জন পাকিস্তানিকে বাঁচাল ভারতীয় নৌসেনা। ভারতীয় নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের আল-কাম্বার ৭৮৬ নামের একটি জাহাজ আরব সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। এই জাহাজের ক্রুদের মধ্যে ২৩ ন পাকিস্তানি ছিলেন। হঠাৎ জলদস্যুরা হামলা চালয় এবং জাহাজটি ছিনতাই করে। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে ভারতীয় নৌসেনার কাছে খবর আসে যে ইয়েমেনের সোকোত্রার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৯০ নিক্যাল মাইল দূরে ইরানিয়ান ভেসেলে আল-কাম্বারকে হাইজ্যাক করে নেওয়া হয়েছে। ভেসেলটিতে সশস্ত্র জলদস্যু উঠে পড়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়েই আরব সাগরে মোতায়েন থাকা ভারতীয় নৌসেনার দুটি জাহাজ নামে অপারেশনে। শুক্রবার হাইজ্যাক হওয়া ভেসেলের কাছে পৌঁছে যান ভারতীয় নৌসেনার কমান্ডোরা। শুরু হয় জলদস্যুদের সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধ। গোটা অভিযানে টহল জাহাজ আইএনএস সুমেধার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইএনএস সুমোর সাহায্যে ছিনতাই হওয়া ইরানি জাহাজ শনাক্ত করা হয়। জাহাজটি সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার দূরে ছিল। আল-কাম্বারকে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করতে গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট আইএনএস ত্রিশুলের ভূমিকাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ১২ ঘণ্টার অপারেশনের পর শেষপর্যন্ত সোমালিয়ার জলদস্যুরা ভারতীয় নৌসেনার সামনে হাঁটু মুড়ে বসতে বাধ্য হয়। ভেসেলে থাকা ২৩ জন পাকিস্তানি ক্রু সদস্যকে সুরক্ষিতভাবেই উদ্ধার করে ভারতীয় নৌসেনা।
আপাতত ভেসেলের পরতিটা জিনিস ভারতীয় নৌসেনার পর্যবেক্ষনের মধ্যে রয়েছে। ভেসেলটি মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হত। আবার সুরক্ষিত জায়গায় ফিরে গিয়ে যাতে নতুন করে নিজের কাজ শুরু করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অপারেশন সংকল্পগত কয়েকমাসে এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে জলদস্যুদের আতঙ্ক বেড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমালিয়ার জলদস্যু ও হুথি বিদ্রোহীরা সুয়েজ খাল অবরোধ করে রেখেছে। ক্রামাগত হামলার কারণে সমু্দ্রে বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর ফলে অনেক নৌযান সরবরহও ব্যহত হচ্ছে। আর এই কারণেই নৌবাহিনী এডেন উপসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে অপারেশন সংকল্প শুরু করেছে।