• প্রথম পিরিয়ডের অসহ্য যন্ত্রণা! চরম পদক্ষেপ রজস্বলা তরুণীর
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
  • জীবনের প্রথম ঋতু্রাবের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাী হল এক কিশোরী। মাসিক চক্র সম্পর্কে ভুল তথ্য ছিল বছর চোদ্দর এই নাবালিকার কাছে আর সেই কারণেই মানসিক চাপে পড়ে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , নাবালিকা তার পরিবারের সঙ্গে মালভানীর লক্ষ্মী চালে থাকত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই আত্মঘাতী হয় সে। রাত নটা নাগাদ মেয়েটির পরিবার এবং প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারে। তড়িঘড়ি নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় কান্দিভালির শতাব্দী হাসপতালে সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের মতো জায়গায় এধরণের ঘটনা হতবাক করেছে সক্কলকে। পুলিশ জানিয়েছে মাসিক চক্র সম্পর্কে ভুল তথ্য থাকায় চরম মানসিক চাপে পড়েই এই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে ওই নাবালিকা।

    শারিরীকভাবে দুর্বল থাকার কারণে ১৪ বছরের একটি নাবালিকার মৃত্যু আরও একবার প্রমান করে দিল যে আজও শিশুদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরা খোলামেলা আলোচনা করেন না। সন্তানরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মায়েরা তাদের কাছে আসার পরিবর্তে বরং আরও দূরে সরে যান। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বড় হওয়ার পর সন্তানদের তাদের নিজের জীবনে ছেড়ে না দিয়ে এং দূরত্ব বজায় না রেখে বরং বন্ধু হওয়া বেশি জরুরি। যদি এই নাবালিকার পরিবার পরিজনেরা তার কাছে থাকত এবং মাসিক চক্র সম্পর্কে তাকে পরিষ্কার ধারণা দিত তাহলে ঋতুস্রাবের কারণে হওয়া যণ্ত্রণার জন্য অযথা নিজের প্রাণ দিত না মেয়েটি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন করার ওপরেও সক্কলের জোর দেওয়া উচিত।

    এই ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক পুলিশের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটির পরিজনরা জানিয়েছে, যে সম্প্রতি প্রথমবার ঋতুস্রাব হয়েছিল নাবালিকার। আর সেই কারণে অসহ্য ব্যথায় ভুগছিল মেয়েটি। তার জন্য বিষন্নও হয়ে পড়েছিল। সেইসঙ্গে যথেষ্ট চিন্তিত এবং মানসিকভাবে চাপে ছিল। সাধারণত এই বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এমনটা ঘটে বলে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি পরিবারের লোকেরা।

    জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে আরও বেশকিছ তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি তার সৎ মায়ের সঙ্গে থাকত এবং কারখানায় কাজ করত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ঋতুস্রাবের সময়ও নাবালিকাকে দিয়ে বাড়ির যাবতয় কাজ করাতো তার সৎ মা। রেকর্ড করা হচ্ছে নাবালিকার সৎ মা, বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের বক্তব্য। জিজ্ঞাবাদ করা হবে কারখানার মালিককেও।
  • Link to this news (এই সময়)