• দলীয় প্রার্থীর 'পথের কাঁটা' BJP বিধায়কই, দার্জিলিঙে 'সরাসরি চ্যালেঞ্জ'-এর মুখে রাজু বিস্তা?
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
  • সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজু বিস্তাকে দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। গুঞ্জন উঠেছিল, এবার নাকি উত্তরবঙ্গে বিজেপির প্রার্থী হতে পারে প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। যদিও শেষ পর্যন্ত দার্জিলিঙের জন্য রাজু বিস্তার উপরেই ভরসা রাখে বিজেপি এবং তাঁকেই প্রার্থী করা হয়।এদিকে রাজু বিস্তাকে চিন্তায় ফেলেছেন তাঁর দলেরই বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ। তিনি ঘোষণাই করেছিলেন, দার্জিলিঙে বিজেপি 'ভূমিপুত্র'-কে প্রার্থী না করায় তিনি নির্দল হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন। তিনি বলেছিলেন, 'দার্জিলিঙের ভূমিপুত্রকে টিকিট না দিলে আমি লড়ব বলেছিলাম। মণিপুরের রাজু বিস্তাকেই এবারও টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তাই এবার আমি নির্দল হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

    সেক্ষেত্রে কি খুল্লামখুল্লা দলের বিরোধিতা করছেন তিনি। এই প্রশ্নের জবাবে বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, 'আমি দল বিরোধী নই। কিন্তু, ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করা হোক এমনটাই চাইছিলাম।' এই কথা বলেই নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা করলেন কার্শিয়াঙের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। শনিবার সকালে দার্জিলিঙে মহাকাল মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর মনোনয়ন জমা করেন।

    উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময় পাহাড়ের রাজনীতি অন্যরকম ছিল। সেই সময় পাহাড় ছিল বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দখলে। কিন্তু, বর্তমানে বিমল গুরুং অনেকটাই কোণঠাসা পাহাড়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতা অনীত থাপা উঠে এসেছেন এই সময়।

    তবে ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, রাজনীতিতে কোণঠাসা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিমল গুরুংয়ের এখনও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এদিকে রাজু বিস্ত জানিয়েছিলেন, বিমল গুরুং যাই করবেন তা পাহাড়ের ভালোর জন্য করবেন এই নিয়ে তিনি আশাবাদী। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মন জয় করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছিলেন রাজু বিস্তা। তিনি বলেছিলেন, ‘১০০ শতাংশ মানুষের মন যাতে জয় করতে পারি, তাই লক্ষ্য।’

    এরই মধ্য বিষ্ণুপ্রসাদের মনোনয়ন জমা দেওয়া পাহাড় রাজনীতিতে নয়া মোড় বলে মনে করছেন অনেকেই। বিষ্ণুপ্রসাদ দলের বিরুদ্ধে নন বলে দাবি করেও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে বিষ্ণুপ্রসাদের প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে রাজু বিস্তার কণ্ঠে। বিদায়ী সাংসদের কথায়, 'লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার আগে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত বিষ্ণপ্রসাদের।' সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে পাহাড় রাজবীতিতে যে প্রত্যেকদিন ট্যুইস্ট অ্যান্ড টার্ন আসছে তা বলাই বাহুল্য।
  • Link to this news (এই সময়)