• হাট বসেছে শনিবারে, প্রচারে বেরিয়ে তরতাজা সবজি বিক্রি বিজেপি প্রার্থীর
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৪
  • কেউ ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে বা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, কেউ আবার গ্রামের বাড়ির মাটির দাওয়ায় বসে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারছেন। এছাড়া মন্দিরে পুজো দেওয়া বা সকলের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেওয়ার মতো কর্মসূচি তো আছেই। আসলে ভোটের প্রচারে এই ধরনের কর্মসূচি করতে হামেশাই দেখা যায় প্রার্থীদের। তবে এবার জনসংযোগের আরও এক অভিনব উপায় দেখা গেল মালদায়। হাটে বসে সরাসরি সবজি বিক্রি করলেন প্রার্থী। চলল বেচাকেনা।দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী শনিবার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরহাটে এক অভিনব নির্বাচনী ভোট প্রচার সারলেন। মথুরাপুরহাটে নিজের হাতে সবজি বিক্রি ও মাটির সামগ্রি বিক্রি করতে দেখা গেল তাঁকে। শুধু তাই নয় দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চায়ের দোকানে নিজের হাতে চা বানিয়ে পরিবেশনও করলেন তিনি।

    এই বিষয়ে বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, 'কবিগুরু বলেছিলেন হাটই গ্রাম বাংলার মানুষের সচেতনতাকে তুলে ধরে। তাই কবিগুরু কবিতাও লিখেছিলেন হাটের উপরে। হাটে এলে সমগ্র পৃথিবীটা দেখতে পাই। বিভিন্ন এলাকার মানুষ, বিভিন্ন উপলব্ধি নিয়ে মানুষ এখানে আসেন। শুধু যে বেচাকেনা করতে আসেন তাই নয়, তার সঙ্গে মনের কথা বলেন, দূর দূরান্ত থেকে মহিলারা আসেন, সারা সপ্তাহের যে চিন্তাভাবনা, সেটা তাঁরা শেয়ার করেন। আমি অন্তত একদিন তাঁদের মধ্যে দিয়ে, তাঁদের যে চিন্তাভাবনা সেটাকে জানার জন্য, এবং তাঁদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক আমার আছে, সেটাকে আরও মজবুত করা জন্যই হাট করতে এসেছি।'

    তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অভিনব প্রচার সারতে দেখা গিয়েছে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। মালদার কালিয়াচক থানা এলাকার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল কাঁটাতারে ঘেরা। কাঁটাতারের ওপারে কয়েকশো ভোটারের বাস। তারা প্রতিটি ভোটে অংশও নেন। কিন্তু কখনও কোনও প্রার্থীকে তাঁরা দেখেননি। তাই তাঁরা কখনও তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা বলতেও পারেননি। প্রতিদিন বিএসএফ গেট খুললে এপারে এসে তাঁরা পানীয় জল সংগ্রহ থেকে শুরু করে রুজি রোজগার সহ যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করেন। কয়েকদিন আগে সেখানেই ভোট প্রচার করতে যান মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এই কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। আর কাঁটাতারে ওপারের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এখনও নিজভূমিতে কার্যত পরবাসী হয়েই রয়ে গিয়েছেন।
  • Link to this news (এই সময়)