• কলকাতায় বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে এবার বিশেষ অ্যাপ, কড়া পদক্ষেপ পুরসভার
    এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৪
  • গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর শহরে বেআইনি নির্মাণ রুখতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। এবার অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুরকর্তৃপক্ষ। এই অ্যাপটির নাম দেওয়া হয়েছে 'KMC ওয়ার্ক ডায়রি'। কী ভাবে তা ব্যবহার করা হবে সেই জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হল পুরসভার পক্ষ থেকে। কলকাতা পুরসভার টাউন প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের কনফারেন্স রুমে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে আইটি সেলের কর্মীদের।বিল্ডিংয়ের কাজকর্মের সঙ্গে ওতোপ্রতভাবে জড়িত সাব অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়র, অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়রদের ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কী ভাবে কাজ করবে এই অ্যাপ?

    গার্ডেনরিচে পাঁচতলা বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছিল গোটা রাজ্যজুড়ে। শহরে বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবার এই অ্যাপ নিয়ে আসা হল।

    এক আধিকারিকের কথায়, গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন ইঞ্জিনিয়ররা। এরপর তাঁরা নিজের আইডি ব্যবহার করে লগ ইন করতে পারবেন। তারপর ওয়ার্ড এবং স্ট্রিট নম্বর মেনশন করতে হবে। নির্মাণকাজের ছবিও তুলতে হবে এবং নীচে লিখতে হবে নোটও।

    পাশাপাশি যদি কোনও বেআইনি কার্যকলাপ চোখে আসে সেক্ষেত্রে তা উল্লেখ করতে হবে। এই সম্পর্কিত যে সমস্ত রিপোর্ট সাব অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়র জমা দেবে তা দেখবেন অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়র। অ্যাপের মাধ্যমে সেই রিপোর্টটি পাঠানো হবে বরো এক্সিকিউটিভ অফিসারের আধিকারিকের কাছে। সেখান থেকে তা যাবে ডিজি বিল্ডিংয়ের কাছে। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা যেতে পারে। প্রয়োজন পড়লে থানায় অভিযোগ করার জন্য অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়রকে দেওয়া যেতে পারে নির্দেশও।

    জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে এই অ্যাপ চালু করার চিন্তা ভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য এই অ্যাপ নয়। শহর কলকাতাকে বেআইনি নির্মাণ মুক্ত করতে এই অ্যাপ ব্যবহার করবে কেবলমাত্র কলকাতা পুরসভা। নিজের এলাকায় বহুতল পরিদর্শন করতে হবে ইঞ্জিনিয়রদের। কোনও বেআইনি নির্মাণ চোখে এলে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ মারফত।

    এই নজরদারির ফলে শহরে বেআইনি নির্মাণ ঠেকানো সম্ভব হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ১ এপ্রিল থেকে অ্যাপটি চালু করা হতে পারে।
  • Link to this news (এই সময়)