BJP Candidate: 'রাজ'-নীতিতে রাজরক্তে ভরসা! নির্বাচনে বিজেপির তুরুপের তাস কোন রাজপুত্র-কন্যারা?
এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৪
তাঁদের রক্তে বইছে রাজ-রক্ত। 'রাজ'নীতির আঙিনাতেও তাঁদের 'রাজ' দীর্ঘ বছর ধরে। এক সময় তাঁদেরই পূর্বপুরুষরা যুদ্ধের ময়দানে নেমে অস্ত্র ঘুরিয়েছেন। কাবু করেছেন শত্রুপক্ষকে। আর আজ তাঁদের বংশধররাই রাজনীতি ময়দানে ক্ষুরধার বুদ্ধিতে কামাল করছেন। রাজ পরিবারের সেই সদস্যের উপর আস্থা রাখছে কেন্দ্রের শাসক দল। আশাও আগামী লোকসভা নির্বাচনে বরাবরেই মতো বাজিমাত করবেন তাঁরা। বুদ্ধির জোরে ধরাশায়ী করবেন বিরোধী পক্ষকে।উল্লেখ্য, সব রাজনৈতিক দলের পাখির চোখ এখন লোকসভা নির্বাচন। জোরদার প্রচার শুরু করেছে বিজেপি-কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। এনডিএ-কে ৪০০ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে বিজেপির টার্গেট ৩৭০ আসন। লক্ষ্য পূরণে কোমর বেঁধে তৈরি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। বিশেষ কৌশলে শান দিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। এখনও পর্যন্ত বিজেপি যতজনের নামে প্রার্থী তালিকায় রেখেছে তাঁদের মধ্যে ১০ জন রাজ পরিবারের বংশধর। রাজ রক্ত বইছে তাঁদের শরীরে। জানেন কারা কারা রয়েছেন সেই তালিকায়?
বিজেপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন রাজস্থানের রাজ পরিবারের সদস্য হেমন্ত সিং। রয়েছেন মধ্য় প্রদেশে রাজ পরিবারের সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এছা়ড়াও রয়েছেন উত্তর প্রদেশে রাজ পরিবারের পরিবারের সদস্য কুনওয়ার রাঘবেন্দ্র সিং।
রাজ পরিবারের বংশধরদের নিয়ে বিজেপির বাজি
মহীশূর রাজপরিবারের বংশধর যদুবীর কৃষ্ণদত্ত চামরাজা ওয়াদিয়ারকে দল বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। তাঁর দাদা, শ্রীকান্তদত্ত নরসিংহরাজ ওয়াদিয়ার, ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত চারবার কংগ্রেস সাংসদ ছিলেন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন। লক্ষ্য যদুবীরেরহাত ধরেই ফের রাজনীতির ফিরুন তাঁর অভিজ্ঞ দাদাও। অন্যদিকে মেওয়ার রাজপরিবারের পুত্রবধূ মহিমা কুমারী তথা বিশ্বরাজ সিংয়ের স্ত্রী রাজসমন্দ থেকে বিজেপি প্রার্থী। রাজপুত অধ্যুষিত এই এলাকায় তাঁর জয় নিয়ে ভরপুর আত্মবিশ্বাসী দল। রাজসমন্দের বিজেপি প্রার্থী মহিমা কুমারী মেওয়ারের রাজপুত সম্প্রদায় থেক উঠে আসা। তিনি মেওয়ার রাজপরিবারের সদস্য বিশ্বরাজ সিংয়ের স্ত্রী। ত্রিপুরা পূর্ব থেকে বিজেপির মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা ত্রিপুরার মাণিক্য রাজ পরিবারের বংশধর। তিনি টিপরা মোথা দলের নেতা প্রদ্যোত দেববর্মার বড় বোন। টিএমপি সম্প্রতি রাজ্যের এনডিএ সরকারে যোগ দিয়েছে। কৃতির স্বামী যোগেশ্বর রাজ সিং মর্যাদাপূর্ণ কাওয়ার্ধা রাজবংশের সদস্য।
গুনা থেকে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
ওড়িশায়, প্রাক্তন বিজেডি সাংসদ আরকা কেশরী দেবের স্ত্রী এবং কালাহান্ডি রাজপরিবারের সদস্য মালভিকা কেশরী দেব ২০২৩ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে, কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন রাজপরিবারের বংশধর রাজমাতা অমৃতা রায় তৃণমূল নেতা মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়াও একাধিক প্রাক্তন লোকসভা সদস্যও বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়ছেন। ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন নির্বাচনের জন্য বিজেপি নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় প্রার্থীকেই বেছে নিয়েছে বিজেপি। পাতিয়ালার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রনীত কৌর দল পরিবর্তন করার পরে বিজেপি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, যিনি গোয়ালিয়রের রাজবংশের বাসিন্দা, গুনা থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। এই পদক্ষেপ আগামী নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ওড়িশায়, বিজেপি বোলাঙ্গির সাংসদ সঙ্গীতা কুমারী সিং দেওকে পুনরায় নির্বাচিত করেছে বিজেপি। পাটনাগড়-বোলাঙ্গির রাজ পরিবারের সদস্য তিনি। তিনবারের ঝালাওয়ার-বরানের সাংসদ ও বিজেপি নেতা দুশ্যন্ত সিং আবার নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি আবার ধোলপুর রাজপরিবারের সদস্য। বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ উদয়নরাজে ভোঁসলে, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের বংশধর, বিজেপির টিকিটে মহারাষ্ট্রের সাতারা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ভোঁসলে এর আগে ২০১৯ সালে এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসনটি জিতেছিলেন, কিন্তু পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উপনির্বাচনে হেরে গেলেও তিনি রাজ্যসভার মনোনয়ন পান।