জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের আরও ২ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। ঝাড়গ্রামে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সোরেনের বিপক্ষে প্রার্থী করা হল ডা প্রণত টুডুকে। অন্যদিকে, বীরভূমে শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হল প্রাক্তন পুলিসকর্তা দেবাশিস ধরকে।
রাজ্যের অধিকাংশ কেন্দ্রে প্রার্থী দিলেও মোট ৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত করে রেখেছিল বিজেপি। সেগুলি হল ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, আসানসোল ও ডায়মন্ডহারবার। ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমে প্রার্থী ঘোষণার পর বাকী রইল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা। একেবারে প্রথম দফায় আসানসোলে পবন সিংকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হলেও বেঁকে বসেন পবন। ফলে ওই আসনটি এখনও খালি রয়েছে।খুব সম্প্রতি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন দেবাশিষ ধর। তাঁর ইস্তফার পর তাঁর ভোটে লড়াই করার জল্পনা আরও তেজি হয়ে যায়। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের রেডিওলডি বিভাগে ছিলেন ডা প্রণত টুড়ু। তিনিও সম্প্রতি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। তিনি যে ভোটে দাঁড়াতে পারেন তেমনই একটি জল্পনাও ছিল। এবার ওই দুজনের নামে ঘোষণা করে দিল বিজেপি।নাম ঘোষণার পর জি ২৪ ঘণ্টাকে দেবাশিস ধর বলেন, জীবনে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত ৩ বছর জীবনের যে অধ্য়ায় দিয়ে গিয়েছি সেখান থেকে আমার মনে হয়েছে জীবনে অনেক কিছুই করার রয়েছে। অনেককিছু কাজ রয়েছে তা যদি করতে পারি তাহলে এখানকার মানুষের অনেক উপকার হবে। দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি। মা তারার জায়গায় যাচ্ছি। সেখানে অযোধ্যার মতো আন্তর্জাতিক মানের একটি তীর্থকেন্দ্র তৈরি করতে চাই।দেবাশিস ধরের কেরিয়ারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শীতলকুচিকাণ্ড। সেই শীতলকুচিই কি টার্নিং পয়েন্টে? দেবাশিস ধর বলেন, হতে পারে। প্রত্যেকের জীবনে একটি ফেজ থাকে। হতে পারে ওটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। হতে পারে ওই ঘটনা যদি না ঘটত তাহলে আমার জীবনে এই বোধ হয়তো আসত না। অন্যান্য অনেকের মতো চাকরিজীবন কাটাতাম। আমরা মনে হয়েছে আগামী ১৫ বছর বা ২০ বছর এই প্লাটফর্মে এসে কাজ করতে এবং মানুষকে আরও উপরে নিয়ে যেতে।শীতলকুচি যা হয়েছিল এবং রাজ্য সরকার যেভাবে বিষয়টি ডিল করেছিল তা থেকে কোনও অভিমান হয়েছিল, সেখানে থেকেই কি এই সিদ্ধান্ত? দেবাশিসবাবু বলেন, অভিমান তো নিশ্চয় আছে। সেটাতো অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই! অনেককিছুই এখন বুঝতে শিখেছি। মনে হয়েছে সবকিছুই হয় ভালোর জন্য। ভবিষ্যতেও ভালোর জন্যই হবে। তিন বছর বসেছিলাম। হয়তো বেতন পাচ্ছিলাম। আমার মনে হয় এটা ঠিক নয়। চাই না সরকারের কোনও টাকা নষ্ট হোক। আমর মনে হয়েছে আমার যে মেধা রয়েছে তা সঠিক কাজে ব্যবহার হোক। কীভাবে এরকম বিজেপির মতো একটি দল প্রার্থী করল? দেবাশিস ধর বলেন, সবটা তো বলতে পারব না। তবে বলতে পারি প্রার্থী হওয়ার জন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। এটাই সত্য। চেয়েছিলাম রাজ্য থেকে চলে গিয়ে অন্য ক্যাডারে চলে গিয়ে কাজ করব। সেই আবেদন করেছিলাম। কিন্তু যারা আমার উর্দধতন কর্তৃপক্ষ তাদের মনে হয়েছে আমি বোঝহয় অন্য বড় কোনবও প্লাটফর্মে গিয়ে কাজ করতে পারব। যারা আমাকে এই সুযোগ দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।