• ভোটের আগে নাকাবন্দি! ভিড় কমছে, সঙ্কটে বার
    এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৪
  • লোকসভা ভোটের আগে চার দিকে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কারও কাছে একটু বেশি নগদ টাকা থাকলেই সে টাকার সোর্স জানতে চাওয়া হচ্ছে। অনেক সময়ে টাকা বাজেয়াপ্ত করছে পুলিশ। মদ্যপ চালকদের ধরতেও রাস্তায় চেকিং বাড়ানো হয়েছে।মুখে ব্রেথ অ্যানালাইজার ঠেকিয়ে জনে-জনে টেস্ট করা হচ্ছে। মদ ধরা পড়লেই মোটা টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। সেই আতঙ্কে বাইরে মদ্যপানে সাহস কমেছে অনেকেরই। সব মিলিয়েই ভোটের মুখে বারগুলিতে মদ বিক্রি কমেছে। চিন্তায় পড়েছেন বার-মালিকরা।

    কয়েক দিন আগে উল্টোডাঙার একটি বার থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে চেপে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী। বার থেকে বেরোনো মাত্রই গাড়িটিকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সেই সময়ে তাঁর পকেটে পাঁচ হাজার টাকার মতো নগদ ছিল। সেই টাকার উৎস জানতে চান কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। সেই টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    বঙ্গীয় হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড এক্সসাইজ লাইসেন্সি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অচিন্ত্য বসুর দাবি, যেখানেই বার-হোটেল-রেস্তরাঁ রয়েছে, সেখানেই ভোটের আগে নাকা চেকিং বেড়েছে। যারাই বার থেকে বেরোচ্ছেন, বেছে বেছে তাঁদের গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। ৫-১০ হাজার টাকা থাকলেও অনেক সময়ে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। কাউকে কাউকে থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। রাত অবধি বসিয়ে রাখা হচ্ছে।

    ফলে লোকজন ভয়ে বারে কিংবা পাবে মদ খেতে আসছেন না। ভোট ঘোষণার পর থেকে বারগুলিতে মদ বিক্রি প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। অচিন্ত্যর কথায়, ‘বারে লোকে নগদ টাকা নিয়েই আসেন। বার সিঙ্গারদের লোকে নগদ টাকাই দেন। এই ধরনের পেমেন্ট অনলাইনে হয় না। নাকা চেকিংয়ের জেরে লোকজন এতটাই আতঙ্কিত, তাঁরা আর বারমুখো হচ্ছেন না।’

    এর বিহিত চেয়ে খুব শীঘ্রই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন অচিন্ত্যরা। এমনিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে সব বার এবং অফ শপ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় প্রায় দেড় মাস ধরে ভোট চলবে। প্রতি দফায় গড়ে দু’দিন করে মোট ১৪ দিন বার বন্ধ থাকবে।

    যে দিন যে লোকসভা কেন্দ্রে ভোট থাকবে, সেখানে একদিন আগে থেকেই বার ও অফ শপে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। কলকাতায় দু’টি আলাদা লোকসভা কেন্দ্র (কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ)। ভোট উপলক্ষে দু’দিন গোটা শহরেই সব বার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোট চলাকালীন বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন বার-মালিকরা।
  • Link to this news (এই সময়)