রাজ্যের 'লক্ষ্মীদের' সুখবর দেওয়া হয়েছিল রাজ্য বাজেটের দিনেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ১ এপ্রিল থেকে তা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের চালু করা এই প্রকল্পের বর্ধিত অর্থ নয়া অর্থবর্ষে কার্যকর হবে। তবে ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ। আর সেই কারণে এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে এক দিন আরও লাগতে চলেছে।কত টাকা বেশি পাবেন উপভোক্তারা?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সফল প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যের যে সমস্ত মহিলা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ৫০০ টাকা করে পেতেন এবার থেকে তাঁরা পাবেন ১০০০ টাকা করে। অন্যদিকে, যে সমস্ত উপভোক্তারা ১০০০ টাকা করে পেতেন, তাঁরা পাবেন ১২০০ টাকা। রাজ্যকে এর জন্য বরাদ্দও বাড়াতে হয়েছে।
গত মার্চ মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য খরচ করা হয়েছিল ১ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে সেই খরচ বেড়ে হতে চলেছে ২ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। রাজ্যের দুই কোটির বেশি মহিলা উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে এই বর্ধিত টাকা পৌঁছবে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন জয়ের পর ফের একবার মসনদে বসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে প্রথমে জেনারেল কাস্টের মহিলাদের জন্য মাসিক ৫০০ টাকা এবং এসসি এসটি মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
এর ফলে রাজ্যের মহিলাদের একটা বড় অংশের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছিল। এই প্রকল্পের প্রশংসাও হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। সংসার চালানোর কাজ থেকে শুরু করে ছেলেমেয়ের পড়াশোনাতে এই অর্থ ব্যয় করতে পারছেন রাজ্যের মহিলারা। সম্প্রতী একটি সমীক্ষা মোতাবেক বহু মহিলা এই টাকা যেমন সন্তানের পড়াশোনায় লাগিয়েছেন, কেউ কেউ প্রসাধনী কিনেছেন, খাওয়া দাওয়া নিয়ে নিজেদের শখ পূরণ করেছেন। মোটের উপর তাঁদের জীবনযাত্রার মান এই প্রকল্পের ফলে উন্নত হয়েছে।
বাজেটে এই বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জেনারেল এবং এসসি এসটি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য বরাদ্দ অর্থের ব্যবধানও কমিয়ে আনা হয়। স্বাভাবিকভাবেই খুশি মহিলারা।
রাজ্যের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ১ এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত ভাতা কার্যকর হতে চলেছে। তবে ওই দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার কারণে ২ এপ্রিল উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা।