• Russia Ukraine War: রাশিয়ান স্ত্রীর টোপ দিয়ে সেনায় ঢোকানোর চেষ্টা!
    এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৪
  • কারনাল: টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতীয়দের রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে জোর করে সেনায় যোগ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ আগেই উঠেছে কয়েকজন এজেন্টের বিরুদ্ধে। এবার চাকরির সঙ্গে রুশ স্ত্রী পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে, মিথ্যে কথা বলে হরিয়ানার দুই তুতোভাইকে বেআইনি ভাবে রাশিয়া নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। কোনও ক্রমে দুই ভাই বাড়ি ফিরতে পারলেও তাঁদের ট্রমা কাটছে না।মুকেশ (২১) এবং সানি (২৪) নামে দুই ভাইয়ের দাবি, জার্মানির হোটেলে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের ভারত থেকে নিয়ে যায় ইমিগ্রেশন এজেন্টরা। কিন্তু জার্মানির বদলে তাঁদের ব্যাঙ্ককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আকাশপথে বেলারুশ। সেখানে সীমান্তের জঙ্গল পেরিয়ে তাঁদের রাশিয়ায় ঢোকানো হয় বলে দাবি। ওই জঙ্গলেই রয়েছে ইমিগ্রেশন এজেন্টদের ক্যাম্প। ভারতীয় দুই ভাইয়ের দাবি, তাঁদের মতোই দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ২০০ জন এই ক্যাম্পে রয়েছেন। রাশিয়ায় কাজের পারমিট, রুশ স্ত্রী, রুশ পাসপোর্ট এবং মাসে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করা হয়। মুকেশ এবং সানির দাবি তাঁরা সেনায় যোগ দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাজি হননি বলে তাঁদের খাবার, জল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়। তার পরও রাজি না হওয়ায় বৈধ ট্রাভেল পারমিট ছাড়া রাশিয়ায় ঢোকার অপরাধে তাঁদের মস্কোর জেলে পুরে দেওয়া হয়।

    মস্কোর এক আইনজীবী তাঁদের জামিন পেতে এবং দেশে ফিরতে সাহায্য করেন বলে দাবি। সেই আইনজীবীকে ৬ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে। তিনিই মুকেশদের জানিয়েছেন, রুশ প্রশাসনই টাকা দিয়ে এই ভুয়ো এজেন্টদের নিয়োগ করেছে। অল্পবয়সি ছেলেদের রুশ সেনায় আনতে পারলেই প্রত্যেক এজেন্ট পাবেন ২ লক্ষ টাকা করে! মুকেশ-সানির পরিবারের দাবি, ঘুষ দিয়ে দুই ভাইকে জার্মানি পাঠানোর ব্যবস্থা করতে তাঁদের প্রায় ২৫-৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে!

    বিনিময়ে সারা গায়ে পোড়া, কাটার ক্ষত। মুকেশ বলেন, 'ওরা আমাদের জ্বলন্ত কাঠ, দেশলাই দিয়ে ছেঁকা দিয়েছে, বরফে শুয়ে থাকতে বাধ্য করেছে। বন্দুক, ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছে। ১৫ দিন খাবার দেয়নি। ওদের কথামতো সেনায় যোগ না দিলেই বেআইনি ভাবে রাশিয়ায় ঢোকার অপরাধে ১০ বছরের জন্য জেলে চালান করে দেয়।' তাঁরা জামিন পেলেও এক পাকিস্তানি তরুণ এবং পাঞ্জাবের এক নাবালক এখনও জেলে আটকে, দাবি দুই ভাইয়ের। মুকেশ-সানির পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। ছ'জন ইমিগ্রেশন এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তারা।
  • Link to this news (এই সময়)