Online Birthday Cake : জন্মদিনে মর্মান্তিক পরিণতি! অনলাইন অর্ডার করা বার্থডে কেক মুখে দিতেই মৃত্যু শিশুর
এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৪
পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে হইহই করে জন্মদিন পালন করার শখ থাকে সব শিশুরই। নিজের ১০ বছরের জন্মদিনটা বড় করে উদযাপন করার আহ্লাদ করেছিল পঞ্জাবের পাতিয়ালার বাসিন্দা মানভিও। তার ইচ্ছেপূরণে পরিবারের সকলে একজোট হয়েছিল। অনলাইন থেকে অর্ডার করে আনা হয়েছিল পছন্দসই বার্থডে কেকও। কিন্তু, সেই কেক খেয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হল মানভির।পঞ্জাবের পাতিয়ালার বাসিন্দা ১০ বছরের মানভি কেকে কামড় দিতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। জন্মদিনে আনা কেক থেকেই ফুড পয়েজনিংয়ের কারণে এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছে পরিবার। জানা যায়, অনলাইন থেকে অর্ডার দিয়ে আনা হয়েছিল কেকটি। জন্মদিনে কেক কাটার পর সেটি খায় মানভি ও তার বোন। জন্মদিনের রাতেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে দু'জনে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মানভি কেক কেটে জন্মদিন পালন করছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। এরপর মধ্যরাত ৩টে নাগাদ আচমরাই মানভি ও তার বোন বমি করতে শুরু করে। দ্রুত তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা মানভিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ১০ বছরের শিশুটির ঠাকুরদা বলেন, 'মানভির বোন বেঁচে গিয়েছে। গোটা কেকটি ও বমি করে বের করে দিয়েছিল। তাই চিকিৎসকরা ওকে বাঁচাতে পেরেছেন।'
মানভির পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই একটি FIR দায়ের করা হয়েছে। কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি রাখা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। যেখান থেকে ডেলিভারি বয় কেকটি নিয়ে এসেছিল তারা গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। সেখান থেকে কোনও কেক ডেলিভারি হয়েছিল তা মানতে নারাজ সংস্থা। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পাটিয়ালা পুলিশ।
এদিকে, সম্প্রতি জাপানে কোলেস্টেরল কমানোর সাপ্লিমেন্টারি ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁছ জনের। ১০০ জনের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি। জাপান সরকারে তরফে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে জাপানি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোবায়াশি ফার্মাসিউটিক্যালের ওভার-দ্য-কাউন্টারের তৈরি ওষুধ। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়াই মুড়ি-মুড়কির মতো মুঠো মুঠো কোলেস্টেরলের ওষুধ সেবন শুরু করেছেন জাপানিরা। ফলে উদ্বেগে সে দেশের সরকার। ওষুধগুলি খাওয়ার বেশ কিছুদিন পর থেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগতে শুরু করছেন জাপানি নাগরিকরা। তার ফল হচ্ছে মারাত্মক।