'৪ তারিখের পরে সুদে-আসলে বুঝে নেবো', ফের বিস্ফোরক সওকত মোল্লা
২৪ ঘন্টা | ৩১ মার্চ ২০২৪
প্রসেনজিৎ সর্দার: ‘দলে থেকে যারা বেইমানি করবে ৪ তারিখের পরে সুদে-আসলে, করায়-গান্ডায় তাদের বুঝে নেবো। এটা যেন মাথায় থাকে’।‘কোনও নেতা ভিখারী হয়ে যদি কারোর কাছে পয়সা নেয়, দল কড়া ব্যবস্থা নেবে’। প্রকাশ্য জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি সুরে বললেন বিধায়ক শওকত মোল্লা।
‘বিজেপির বিরুদ্ধে নওশাদ সিদ্দিকী কোনও কথা বলতে পারছে না। কারণ নওশাদ সিদ্দিকী যে দেহরক্ষী নিয়ে চলছে তা বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া। আর যে পার্টিটা তিনি করেন সেই টাকা বিজেপি সরকার ও বিজেপির নেতাদের দেওয়া’। চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য জনসভা থেকে বললেন শওকত মোল্লা।যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রকে পাখির চোখ করে ভাঙরের ভোট ব্যাংক নিজেদের দখলে রাখতে চাইছে BJP, CPIM, TMC। তাই ISF শক্ত ঘাঁটিকে ভাঙতে চাইছে তৃণমূল লোকসভার ভোট ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে। এবং ভাঙ্গড় পোলেরহাট বাজারে প্রকাশ্য জনসভায় ISF ও জমি জীবিকা রক্ষা কমিটি প্রায় ১৫০ জন কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে দাবী সওকাত মোল্লা সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খয়রুল ইসলামের।প্রকাশ্য জনসভা থেকে শওকত মোল্লা বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি, সকলকে কাছে নিতে হবে। ভালো না লাগলে চলে যাবে। কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু দলে থেকে যারা বেইমানি করবে ৪ তারিখের পর সুদে আসলে কড়ায়-গণ্ডায় তাদেরকে বুঝে নেবো এটা যেন মাথায় থাকে। আর দুর্নীতিতে কোনও টলারেট করা যাবে না। কোনও নেতা যদি কারোর কাছে ভিখারীর মতন পয়সা নেয় দল কড়া ব্যবস্থা নেবে’।তিনি আরও বলেন, ‘বিধায়ক নৌওসাদ সিদ্দিকী বিজেপির বিরুদ্ধে একটা কথা বলতে পারছে না। কারণ তিনি যে দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরছেন এটা বিজেপি কেন্দ্র সরকারের দেওয়া। যে পাটিটুকু উনি করেন সেই টাকা বিজেপি সরকারের ও বিজেপি নেতাদের দেওয়া। ফলে উনি বিরোধিতা করতে পারবেন না। এটা তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন’।‘তাছাড়া ভাঙরে সায়নী ঘোষকে বিপুল ভোটে লিড দিন। তিন বছরে যে উন্নয়ন হয়নি। দেড় বছরে সেই উন্নয়নের দায়িত্ব আমি কাঁধে তুলে নিলাম’।তিনি আরও বলেন, ‘ক্যানিং পূর্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে, ভাঙরে আমি সেই উন্নয়ন যদি না করে দেখাতে পারি তাহলে ২৬ সাল পর্যন্ত ভাঙরে ভোট চাইতে আসবো না এটা প্রতিশ্রুতি দিলাম’।