পোক্ত হচ্ছে জোট' কংগ্রেসের কর্মীসভায় প্রার্থী সহ বাম নেতৃত্ব
২৪ ঘন্টা | ৩১ মার্চ ২০২৪
প্রদ্যুত দাস: কংগ্রেসের সম্মেলনে উপস্থিত সিপিআইএম নেতারা। জোট প্রার্থীকে লাল ফুল দিয়ে স্বাগত জানালো কংগ্রেস নেত্রীত্ব। জোটকে তীব্র কটাক্ষ করে তোপ বিজেপি ও তৃণমূলের।জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে বাম প্রার্থীর সমর্থনে সিপিআইএম ও কংগ্রেস জোট করে লড়াই করার ঘোষনা আগেই হয়েছে। এবারে বাকি ছিল প্রার্থীর সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের পরিচয় পর্ব। এবার সেটাও সেরে ফেলল এই দুই রাজনৈতিক দল।
শনিবার বিকেলে জলপাইগুড়িতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কর্মী সম্মেলন ছিল। সভায় কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার সেই সম্মেলনে উপস্থিত হলেন বাম প্রার্থী দেবরাজ বর্মন।এদিন প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে যান সিপিআইএম-এর দুই জন রাজ্য কমিটির নেতা সলিল আচার্য্য এবং সায়নদীপ মিত্র। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন সিপিআইএম জেলা নেতৃত্ব। জোট প্রার্থীকে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন কংগ্রেস নেতারা। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন বিজেপি ও তৃণমূল এই দুই দল RSS-এর নির্দেশে চলছে। সাধারন মানুষের জন্য এই দুই দলই বিপদ। বিজেপি যদি পুনরায় ক্ষমতায় আসে তবে দেশের সংবিধান রক্ষিত হবে কি না তা নিয়ে আমারা আতঙ্কিত। আর তৃণমূল এই রাজ্যকে শেষ করে ছাড়বে। তাই আমরা এই দুই দলকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধে ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছি। আমাদের এখন লাগাতার কর্মসূচি চলবে।সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্র বলেন, ‘কংগ্রেসে থেকে মমতা ব্যানার্জী বিজেপির দালালি করতে পারছিলেন না। তাই তিনি বেরিয়ে এসে তৃণমূল গঠন করে এই রাজ্যে বিজেপির হাত শক্ত করতে লেগেছে। আমরা দেশকে বিজেপি মুক্ত করতে চাই। আর রাজ্যকে তৃণমূল মুক্ত করতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করছি’।তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা একসময় কংগ্রেস করতাম। ৫৬ হাজার কংগ্রেস কর্মীকে সিপিআইএম খুন করেছিল। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব চুপ ছিল। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে মমতা ব্যানার্জী তৃণমূল দল গঠন করেন। কংগ্রেসকে শেষ করে দিল অধির চৌধুরী। কংগ্রেসের উচিৎ ছিল মমতা ব্যানার্জীকে প্রধানমন্ত্রী প্রজেক্ট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা। কিন্তু তা না করে সিপিআইএম-এর হাত ধরে বিজেপিকে জেতাতে সুবিধা করে দিচ্ছে’।বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য জীবেশ দাস বলেন, ‘তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতে এরা স্লোগান দিয়েছিলো নো ভোট টু বিজেপি। কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি। এবারে জোট করে ময়দানে নেমেছে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতে। কিন্তু লাভ হবেনা। মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করে বিজেপিকে জেতাবে’।