খোদ ফিরহাদের ওয়ার্ডেই দুর্ঘটনা, বাড়ি ভেঙে মৃত্যু বিরাটিতেও
প্রতিদিন | ৩১ মার্চ ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ব্য়ুরো: কলকাতার গার্ডেনরিচ কাণ্ডের ছায়া বিরাটিতে। গার্ডেনরিচ, পিকনিক গার্ডেনের পর বিরাটি ও চেতলা। বিরাটিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির একাংশ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয় শনিবার রাতে। এর ২৪ ঘণ্টার কাটার আগেই কলকাতায় পুরনো বাড়ির কার্নিশ ভেঙে বিপত্তি। রবিবার কাকভোরে ঘটনাটি ঘটেছে খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিজের ওয়ার্ডে। তবে সেখানে কোনও হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত বিরাটিতে শরৎ কালোনি বসু রোডের উপর একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির একাংশ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। মৃতের নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী (৫৮)। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে মহিলা নির্মীয়মাণ আবাসনের পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন। সেই সময় বিল্ডিংটির একাংশ ধসে পড়ে। জখম অবস্থায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই বহুতল আবাসন নির্মাণের কাজ হচ্ছে৷ শনিবার সকাল থেকেই বিল্ডিংয়ের পাঁচতলার উপরে ইঁটের গাঁথনি চলছিল। অভিযোগ, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সেই কাঁচা দেওয়াল ভেঙে নিচে পড়ে। তাতেই জখম হন ওই মহিলা। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। তাঁরা নির্মীয়মাণ আবাসনের সামনে জড়ো হয়ে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের বিরুদ্ধে সরব হন। খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ও উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস।
এদিকে রবিবার সকাল পাঁচটা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে চেতলা রোড সংলগ্ন পরমহংস দেব রোডের একটি তিনতলা বাড়ির কার্নিশ। কাকভোরে রাস্তা ফাঁকা থাকায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জানা গিয়েছে, বাড়িটি ৬০ বছরের পুরনো। এদিন সেই বাড়ির তিনতলার বারান্দার কার্নিশ খসে পড়ে। এলাকাবাসীর দাবি, বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। দিনের অন্য সময় এই এলাকায় বহু লোকের সমাগম হয়। তখন এই দুর্ঘটনা ঘটলে হতাহত হতেন অনেকে, এমনই আশঙ্কা