Lok Sabha Election : ‘স্মার্ট শহর’ নিউ টাউনে প্রচারেও ‘স্মার্ট’ নানা দল
এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৪
শ্যামগোপাল রায়বাংলার প্রায় সব শহরেই উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্তের বহু দেওয়াল বা রাস্তার মোড় এখন ভরে উঠছে ভোটের স্লোগানে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, ‘স্মার্ট শহর’ নিউ টাউন।প্রধান যুযুধান রাজনৈতিক দলের নেতারাই জানাচ্ছেন, নিউ টাউনে অধিকাংশই বহুতল এবং সাজানো-গোছানো বাড়ি। সেখানে কেউই দেওয়ালে ভোটের স্লোগান লিখতে দিতে রাজি নন। হোর্ডিং লাগাতে গেলেও ওঠে প্রবল আপত্তি। তাই তাঁরা জোরাজুরি করছেন না।
স্মার্ট শহরে প্রচারের জন্য মূলত হাতিয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। পাশাপাশি বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেনিংয়েও তারা জোর দেবে বলে জানাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। থাকবে ট্যাবলোয় সাজানো গাড়ি, যেখানে জিতলে কী কী কাজ হবে, সে সবের প্রচার চলবে। নিউ টাউনের পাশেই মূল সল্টলেকেও অন্যান্য জায়গার তুলনায় দেওয়াল লিখনের বহর কম।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্তাও বলছেন, ‘নিউ টাউনে প্রচারের জন্য সব দলকেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডোর টু ডোর ক্যাম্পেনে জোর দেওয়ার কথা বলেছি। নির্বাচন ঘোষণার পরেই বাড়ির দেওয়ালে যাতে ভোটের লিখন না হয়, সে জন্য আমাদের যথাযথ পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন এলাকার বেশ ক’জন বাসিন্দা।’ এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবা দিয়ে থাকে যে সংস্থা, সেই ‘নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ কিংবা এনকেডিএ-ও শহরজুড়ে ৬৪টি ডিজিটাল হোর্ডিং বসিয়েছে। শহর যাতে প্লাস্টিকের হোর্ডিংয়ে ছেয়ে না যায়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা।
নিউ টাউন আদতে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। বারাসতে প্রচার প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বক্তব্য, ‘মূল নিউ টাউনে কোথাও আমরা দেওয়াল লিখিনি। বাড়ি-বাড়ি গিয়েই প্রচার করছেন কর্মীরা।’ বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার বলেন, ‘আর পাঁচটা শহরের সঙ্গে নিউ টাউনকে মেলালে হবে না। দেওয়াল লিখে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করার ইচ্ছে আমার নেই। নিউ টাউনের জন্য মূলত সোশ্যাল মিডিয়াতেই প্রচার করব বলে ঠিক করেছি। আমাদের কর্মীরা বাড়ি-বাড়িও যাবেন।’
ওই কেন্দ্রে বামেরা এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে সিপিএম নেতা পলাশ দাস বলেন, ‘এটা ঠিক যে তৃণমূল বা বিজেপি, কোনও দলের তরফেই নিউ টাউনে সে ভাবে দেওয়াল লেখা হয়নি। আমরাও ওই এলাকায় হাইটেক প্রচারে জোর দেব।’ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও রাজনৈতিক দলগুলির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন নিউ টাউন রেসিডেন্টস’ ওয়েলফেয়ার ফোরামের সম্পাদক সমীর গুপ্ত। তাঁর বক্তব্য, ‘নির্বাচনের কারণে স্মার্ট শহরের দৃশ্যদূষণ হয়, এমন কোনও কাজ রাজনৈতিক দলগুলি করবে না বলে আশা করছি।’