গার্ডেনরিচের পর এবার চেতলা। ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বহুতলের কার্নিশের একটা অংশ। যদিও, ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে, ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।আজ রবিবার ভোর সাড়ে ৪ টে নাগাদ। কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে চেতলার অন্তর্গত 1/3A পরমহংসদেব রোডে ঘটে এই দুর্ঘটনা। একটি তিনতলা বাড়ির একদম উপরের অংশের বারান্দার একটা অংশের কার্নিশ ভেঙে পড়ে ফুটপাতের ওপর। ভোরবেলা ঘটনা ঘটায় আশেপাশে কোনও মানুষ ছিল না। তাই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, কোনও আহত বা প্রাণহানির সম্ভাবনা নেই। তবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কয়েকদিন আগে গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে 12 জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহত এর সংখ্যা ছিল একাধিক। এরপরে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এর ওয়ার্ডেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সেভাবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়নি বাড়িটিকে নিয়ে। কার্নিশ ভেঙে পড়ার সময় নিচে কোনও ব্যক্তি ছিলেন না। দিনের অন্য কোনও সময় হলে আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভার একটি দল ঘটনাস্থলে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে উত্তর দমদম পুরসভা এলাকায় একটি নির্মীয়মান বহুতল থেকে একটি অংশ ভেঙে পড়ে। বহুতলের একটি অংশ ভেঙে পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। বিরাতির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে দুর্ঘটনাটি। মৃত মহিলার নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী। এই ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ওই নির্মীয়মান বাড়ির তিন প্রোমোটার, লেবার ইনচার্জ-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে।
বাড়ি ভাঙার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, উপর মহলের নির্দেশ মতো কাজ হয়ে যায়, সেটাই ধারণা ছিল। এটা দুর্ভাগ্য যে, নির্দেশের পরেও দুর্ঘটনা আটকানো যাচ্ছে না। মেয়র নিজে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনায় জড়িত প্রোমোটার এবং সহযোগীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আর্জি জানান। এমনিতেই, গার্ডেনরিচের ঘটনা আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছে শহরবাসীর মনে। তার মধ্যে ফের বিরাটির ঘটনায় বহুতল নির্মাণ নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।