এবার নির্বাচনী ময়দানে ননদ-বউদির লড়াইয়ের সাক্ষী থাকবে দেশ। শনিবার বারামতী কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। NCP নেতা সুনীল তৎকরে শনিবার জানিয়েছেন, অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ার বারামতী কেন্দ্র থেকে NCP-র প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতের স্ত্রী। অন্যদিকে, বরামতীর বিদায়ী সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেকেই দাঁড় করিয়েছে শরদ গোষ্ঠী। পওয়ারদের খাসতালুক মহারাষ্ট্রের বারামতীতে হবে দুই পওয়ারের সম্মুখ সমর।উল্লেখ্য, শরদ পাওয়া ও অজিত পওয়ার সম্পর্কে কাকা-ভাইপো। কিন্তু মাস কয়েক আগেই ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টিতে ভাঙন ধরিয়ে NDA শিবিরে যোগ দেন অজিত। NCP-তেই বর্তমানে দুই গোষ্ঠী। ফলে পওয়ার পরিবার বিভক্ত। এবার সেই 'কোন্দল' ভোট ময়দানেও।
গোটা দেশ দেখবে লোকসভা নির্বাচনে হারাষ্ট্রে ননদ-বৌদির লড়াই।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিত গুরুত্বপূর্ণ বরামতী। বরামতী হল শরদের খাসতালুক। NCP প্রতিষ্ঠাতা শরদ টানা ছয়বার বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছে এই বারামতি আসন থেকে। লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন টানা পাঁচ বার। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে মেয়ে সুপ্রিয়াকে এই আসন থেকে দাঁড় করিয়েছেন শরদ। এই আসন থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে টানা তিনবার জয় ছিনিয়ে এনেছে সুপ্রিয়া। সেই আসনেই সুপ্রিয়া তথা ননদের মুখোমুখি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন বউদি সুনেত্রা পওয়ার। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক আঙিনায় লোকসভা নির্বাচনে যে খেলা জমে উঠবে সেকথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
শরদ ও অজিত পওয়ার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন দল 'আসল NCP' তা নিয়ে আইনি লড়াইও শুরু হয়েছে। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এই আবহেই বাজল ভোট যুদ্ধের ঘণ্টা। পওয়ার পরিবারের লড়াই নিয়ে উৎসুক দেশবাসী। ফল বেরনোর অপেক্ষায়। তবে সুনেত্রার নাম ঘোষণা সুনীল বলেন, 'এই লড়াইকে পারিবারিক কলহ হিসেবে না দেখে মতদার্শদের প্রতিযোগিতাই বলা সমীচীন হবে। '
সুনেত্রা কে?
অজিতের স্ত্রী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে সুনেত্রা। অন্যদিতে, তিনি নিজেও একজন রাজনৈতিক পরিবারের কন্য়া। সুনেত্রার ভাই পদ্মসিংহ পাটিল মহারাষ্ট্রের প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রীও। সুনেত্রা ও অজিতের দুই সন্তান জয় পওয়ার ও পার্থ পওয়ার। জয় পারিবারিক ব্যবসা সামলান অন্য়দিকে পার্থ সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে হেরে যান। রাজনীতিক ছাড়া সুনেত্রা আর একটি পরিচয় হল তিনি সমাজকর্মী। বরামতীতে তিনি একাধিক কাজ করেছেন। তাঁর নিজস্ব একটি NGO-ও রয়েছে।