• Katchatheevu Island : 'কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস', কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কেন ফুঁসে উঠলেন মোদী?
    এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৪
  • রবিবারই মেরঠ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার ঝড় তুলতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তার কয়েকঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কংগ্রেসকে একহাত নিলেন তিনি। ভারতের অংশ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল হাত সরকার। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে নেওয়া সিদ্ধান্তকে দুষে সরব নমো।কী নিয়ে কংগ্রেসের উপর চটলেন মোদী?তামিলনাড়ুর BJP প্রধান কে আন্নামালাই একটি RTI করে জানতে চেয়েছিলেন, কী ভাবে শ্রীলঙ্কার হাতে ‘মা ভারতীর অংশ’ কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই RTI-এর জবাবে জানা গিয়েছে, ১৯৭৪ সালে ইন্দো-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক চুক্তির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার হাতে ১৬৩ একরের কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধী সরকার। সেইসময় ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদীরপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'চোখ খুলে দেওয়া এবং চমকে ওঠার মতো বিষয়। নয়া তথ্য উঠে এসেছে। তাতে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কচ্ছতিভু দান করা দেওয়া হয়েছিল। এতে প্রত্যেক ভারতীয় ক্ষুব্ধ। মানুষ বুঝে গিয়েছে, আমরা কখনও কংগ্রেসকে ভরসা করতে পারব না।'

    কী এই কচ্ছতিভু দ্বীপ ইস্যু?লোকসভা নির্বাচনে যে কচ্ছতিভু দ্বীপ বড় ইস্যু হতে চলেছে, তা সাত মাস আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা লাভের পরই কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেইসময় শ্রীলঙ্কার তরফে বলা হয়েছিল, দ্বীপরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া কচ্ছতিভু দ্বীপে সামরিক মহড়া চালাতে পারবে না ভারতীয় নৌসেনা। ১৯৫৫ সালে তৎকালীন সিলন বায়ুসেনা মহড়া চালিয়েছিল কচ্ছতিভু দ্বীপে। যা নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। ১৯৬১ সালের ১০ মে কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি তুচ্ছ বলে অভিহিত করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। তিনি লিখেছিলেন, ‘এই ছোট্ট দ্বীপের ক্ষেত্রে কোনওরকম গুরুত্ব দেখতে পাচ্ছি না আমি।' তবে তাঁর আমলে শ্রীলঙ্কার হাতে কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দেওয়া হয়নি। বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী শ্রীলঙ্কার হাতে কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিলেন।

    RTI-এর জবাব অনুযায়ী, ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল এসম সি সেতালভাদ জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি নিয়ে দিনের আলোর মতো স্বচ্ছতা না থাকলেও ওই দ্বীপের উপর ভারতের বেশি অধিকার আছে। ভারতের হাতেই কচ্ছতিভু দ্বীপ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তৎকালীন যুগ্মসচিব কে কৃষ্ণ রাও জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে শ্রীলঙ্কা যে দাবি করছে, সেটার মজবুত ভিত্তি আছে। কিন্তু, তার মানে এই নয়, ভারতের কোনও দাবি নেই। কচ্ছতিভু দ্বীপে মাছ ধরার অধিকার পাওয়ার জন্য ভারতের হাতে আইনি সুযোগ আছে বলেও সওয়াল করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তৎকালীন যুগ্মসচিব। কিন্তু, ভারত কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দেওয়ার পর আজও তামিল মৎস্যজীবীদের ধরপাকড় করে থাকে শ্রীলঙ্কা।
  • Link to this news (এই সময়)