মহুয়াকে ওরা সংসদ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে কেন জানেন', কারণ ব্যাখ্যা করলেন মমতা
২৪ ঘন্টা | ৩১ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে কৃষ্ণনগরের সভা থেকে একগুচ্ছ ইস্যুতে কেন্দ্রকে চাঁচাছোলা ভাষায় নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দাবি করলেন, মহুয়াকে ওরা তাড়িয়ে দিয়েছে। ওকে জেতাতে হবে। একইসঙ্গে মহুয়া মৈত্রকে কেন তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গুজরাত, বিলকিস বানো, হাতররাসের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির অত্যাচারের কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গেই তিনি বলেন, মহুয়াকে ওরা সংসদ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কেন জানেন? কারণ ও সংসদের হিডেপির বিরুদ্ধে জোরে জোরে কথা বলত। তাই ওকে এবার জেতাতে হবে। মহুয়া ওদের যোগ্য জবাব দেবে। আপনারা জেতানোর পরও ওরা ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এতবড় সাহস! তাই ওকে জিতিয়ে আবার সংসদে পাঠাতে হবে যাতে ও ওদের মুখোস খুলে দেয়।সিএএ, এনআরসি নিয়েও বিজেপিকে তুলোধনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, কিছুদিন আগে বাবুরা হঠাত্ বলল ক্যা। কী করেছে জানানে? ক্যা করলেই এনআরসি হয়ে যাবে। গত পরশু দিনই মণিপুরে একজন খুন হয়েছে। তাদের মধ্য়ে একজন আবার বাঙালি। আমরা ক্যা করতে দেব না। এনআরসি করতে দেব না। আপনি ভোট দেন, কন্যাশ্রী পান। ক্যা করলে সব যাবে। বিজেপি এলে একটা কথাও বলতে দেবে না। বিসকিস বানু , হাতরাস, গুজরাটের কথা মনে আছে? মনে রাখবেন বিজেপি হল একটা দাঙ্গাবাজ পার্টি। এরপর ওরা ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে আসবে। নিজের সর্বানাশ নিজে করতে চান? গত ১২ বছর আছি। কোনও অত্যাচার হয়েছে?ইডি, সিবিআইয়ের হানা দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও চলছে। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশ ভালো নেই। দেশ ভালো থাকবে কী করে? এনআইএকে দিয়ে আমার ১৫ জন ভোট ম্যানেজারকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। কেন ভোটের সময়ে নোটিস পাঠানা হচ্ছে? অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে রেখেছে? তার কাজ আটকে রাখতে পেরেছেন? মহারাষ্ট্রের এক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আর তিনি ওয়াশিং মেসিনে সাদা হয়ে গিয়েছে। ওয়াশিং পাউডায় ভাজপা। আজ দেশে ইডি সিবিআই রাজ চলছে। কৃষক, মহিলা, দলিতদের উপরে অত্যাচার চলছে। সংখ্যালঘুদের ওরা মানুষ বলেই মনে করে না। কিন্তু ওরা জানেন না বাংলা এমন একটা জায়গা যেখানে আমার সবাইকে নিয়েই বাঁচি। কারও গায়ে হাত দিতে দেব না। ভাল থাকতে হলে বিজেপিরে দূর করুন, সব স্কিম পেতে হলে বিজেপি কে দূর করুন। বিজেপি যাবে তৃণমূল থাকবে। এবার বলছে ৪০০ পার। আমি বলি ২০০ পার করে দেখাও। কোনও দাঙ্গায় জড়াবেন না। ওরা চেষ্টা করবে। ভোট দিয়ে দেখিয়ে দিন। বাংলার গর্জন, সিপিএম-বিজেপির-কংগ্রেসের বিসর্জন। মতুয়া বন্ধুরা আমার উপরে ভরসা রাখুন। কারও নাগরিকত্ত যেতে দেবে না। আমরা সবাই নাগরিক। দরখাস্ত করা মানে ৫ বছর জন্য আপনি বিদেশি। ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে।