জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শরৎ কলোনির শরৎ বোস রোডে নির্মিয়মান বিল্ডিং-এর একটি অংশ ভেঙে পরে মৃত্যু হয়েছে একজনের। পাশের বাড়ির বাসিন্দা কেয়া শর্মা চৌধুরীর বয়স ৪৫। প্ৰমোটিং এর একাংশ ভেঙে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এলাকা যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছে এই বহু তলটি। ইতমধ্যেই কর্মরত প্রায় ১৮ জনকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস।ঘটনাস্থলে পৌছান উত্তর দমদম পৌরসভার পৌর প্রধান। ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন পুর প্ৰধান। পাশপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছান দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত।
বিরাটির শরৎ কলোনির নির্মিয়মান বিল্ডিং-এর ছাদের প্যারাপিট ভেঙে মুত্যুর ঘটনা নিয়ে রাতেই এয়ারপোর্ট থানায় প্রমোটারের নামে FIR করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যায় আবাসনটির নিচে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময় পাঁচতলার উপর থেকে চাঙড় ভেঙে ওই মহিলার মাথায়।সেই ঘটনায় বিল্ডিংয়ের প্রোমোটার-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। রবিবার সকালে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস ওই নির্মীয়মান বাড়ির তিন প্রোমোটার, লেবার ইনচার্জ-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করে।রবিবার সকালে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি এত দিন ভাবতাম, উপর মহল থেকে নির্দেশ দিলেই কাজ হয়ে যায়। কিন্তু আদতে যে তা হয় না, সেটা দেখতে পাচ্ছি। আমার দুর্ভাগ্য যে এত চেষ্টা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা আটকাতে পারছি না। আমি পুলিস কমিশনারের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছি। আগামী দিনে এমন নিয়ম করব, যাতে বেআইনি নির্মাণ করতে গেলে প্রোমোটারের পা কাঁপে। এখন নির্বাচনী আচরণবিধি চলছে বলে আমি এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারছি না’।অন্যদিকে, গার্ডেনরিচ এবং বিরাটির পরেই ফের বাড়ি ভেঙে পরে চেতলায়। চেতলার পরমহংস রোডে প্রায় ৬০ বছরের পুরনো বাড়ি ভেঙে পরে। যদিও নিচের রাস্তা খালি থাকায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে কিছু দিন আগেই এই বাড়ি সারাই করা হয়েছিল।