দ্য টাইমস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনীত জৈনের মুকুটে জুড়ল সাফল্যের আরও এক সোনালি পালক। 'লাইফ টাইম অ্য়াচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩' অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন তিনি। ভারতের টেলিভিশন দুনিয়ার অপরিসীম অবদান রয়েছে তাঁর। আর সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এক্সচেঞ্জ ফোর মিডিয়া নিউজ ব্রডকাস্টিং অ্যাওয়ার্ডস (ENBA)-এর বিচারকগণের পছন্দের শীর্ষে উঠে এলেন বিনীত জৈন। ভূষিত হলেন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ সম্মানে।শনিবার একটি অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন বিনীত জৈন। পুরস্কার পেয়ে তাঁর কৃতিত্ব অবশ্য নিলেন না বিনীত। কৃতিত্ব দিলেন টাইমস গ্রুপের সকল কর্মীকে। অনুষ্ঠানে বিনীত জৈন বলেন, 'দাদা, সমীর জৈন সর্বদা আমাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। তাঁর সমর্থনেই টাইমস গ্রুপের সম্প্রসারণ ও সেখানে বৈচিত্র্য আনা সম্ভব হয়েছে । এখনও অনেকটা পথ চলতে হবে।'
নিজের কর্মজীবনেও বরারর মুক্ত, ন্যায্য, স্বাধীন এবং শক্তিশালী মিডিয়ার সমর্থনেই বিশ্বাস রেখেছেন তিনি। পুরস্কার নেওরার পর তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সেকথাও। বলেন, 'মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। নিজের সবটুকু দিয়ে আমি সবসময় মিডিয়া শিল্প এবং প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করায় বদ্ধপরিকর।'
'মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের শক্তিশালী হতে হবে'ম্যানেজিং ডিরেক্টর, টাইমস গ্রুপ
গত বেশ কয়েক বছরে সংবাদ মাধ্য়ম দুনিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বিনীত জৈন। মিডিয়ার খুঁটি আরও দৃঢ় ভাবে স্থাপন করতে সামনের সারিতে রয়েছেন তিনি। মিডিয়া জগতের ব্যাপ্তিতেও তাঁর অবদানের কথা অনস্বীকার্য। একাধিক পরিসরে তাঁর অবাধ বিচরণ। সংবাদপত্র থেকে ম্যাগাজিন, ভারতের সবচেয়ে বড় এফএম কোম্পানি-রেডিও মিরচি, অনলাইন মাধ্যম (টাইমস ইন্টারনেট লিমিটেড), টিভি চ্যানেল (টাইমস নেটওয়ার্ক), বিনোদন ক্ষেত্র তথা টাইমস মিউজিক, চলচ্চিত্র (জাংলি পিকচার্স), ইভেন্টস (TSSL), আউটডোর মিডিয়া (টাইমস OOH), ম্যাজিকব্রিক্স এবং আরও একধিক আঙিনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। মিডিয়ার বাইরেও তাঁর গ্রুপ অবদান রাখে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রেও। বেনেট ইউনিভার্সিটি এবং এক্সিকিউটিভ এডুকেশন (টাইমস প্রো) এর মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠান জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করেছে। গত কয়েক দশক ধরে টাইমস গ্রুপের 'এ টু জেড' সামলানোর গুরুভার অর্পিত রয়েছে বিনীত জৈনের কাঁধেই। সেই দায়িত্ব পালনে একচুলও খামতি রাখেননি তিনি। নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন টাইমস গ্রুপের জন্য। ছোট-খাটো প্রতিটা বিষয় তাঁর তীক্ষ্ণ নজর। তাঁর কঠোর পরিশ্রমেই আজ টাইমস গ্রুপ মিডিয়া সেক্টরের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
পুরস্কার জিতে কী বললেন টাইমস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনীত জৈন?
টেলিভিশন দুনিয়ায় টাইমস গ্রুপের একাধিক চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করা ও তার মাধ্যমে ভিন্ন ধারার খবর পরিবেশনার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন বিনীত জৈন। তাঁর কল্যাণেই টাইমস গ্রুপ ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে 'মিডিয়া জায়েন্ট'। উল্লেখ্য, টেলিভিশন দুনিয়ায় 'লিড রোল' প্লে করছে টাইমস নাও গ্রুপের একাধিক চ্য়ানেল যেমন, টাইমস নাউ, ইটি নাও, মিরর নাও, টাইমস নাউ নবভারত এবং ইটি নাউ স্বদেশ। প্রতিটি চ্য়ানেলের সুবাদে আজ সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে। বিনীতের তত্ত্বাবধানের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া জন্য়, নতুন চিন্তা ভাবনার বিকাশ ঘটানোর জন্য বিচারকমণ্ডলী তাঁর প্রশংসা করেছেন। বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার অকল্পনীয় ক্ষমতা রয়েছে টাইমস নেটওয়ার্কের। এই গ্রুপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে এগিয়ে এসেছে দেশের তাবড় তাবড় সাংবাদিকরা। আর এসবের কাণ্ডারী বিনীতই। সবকিছুর জন্য প্রশংসা করেছেন বিচারকমণ্ডলী।
ENBA-এর বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ কে সিক্রি (অবসরপ্রাপ্ত), এক্সচেঞ্জ ফোর মিডিয়ার ও বিজনেস ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান অ্যান্ড এডিটর ইন চিফ ড.আনুরাগ বাত্রা, কম্পিটিশন অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস (ইন্ডিয়া) এলএলপি-র চেয়ারম্যান ধর্মেন্দ্র কুমার, এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অলোক মেহতা সহ অন্যান্যরা।