Puri Tour : গরমের ছুটিতে পুরীর বেড়ানোর প্ল্যানের দফারফা! এপ্রিল-মে মাসে টিকিট বুকিংয়ের আগে জানুন কারণ
এই সময় | ০১ এপ্রিল ২০২৪
পরীক্ষা শেষে গরমের ছুটির পালা। এই সময়টা দু'চারটি দিনের জন্য পুরী ঘুরে আসা বাঙালির কাছে মাস্ট। তবে টুক করে পুরীর সমুদ্র সৈকতে বেড়িয়ে আসার পরিকল্পনা করার আগে অবশ্যই জেনে নিন এই আপডেট।আগে থেকে ট্রেনের টিকিট, হোটেল বুকিং করার জন্য তাড়াহুড়ো চলতে থাকে ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে। কারণ গরমের ছুটিতে চোখের নিমেষে বুক হয়ে যায় হোটেলের রুম। কিন্তু, পর্যটকদের কপাল খারাপ। লোকসভা ভোটের জেরে জোর ধাক্কা খেতে চলেছে সমস্ত পরিকল্পনায়।
ইয়ার এন্ডিং চাপ শেষ হতেই, পরিবার সহ গরমের ছুটিতে পুরীর সমুদ্র চুটিয়ে স্নান করা থেকে শুরু করে জগন্নাথ মন্দির দর্শনের সমস্ত পরিকল্পনা ছিল রেডি। এদিকে, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ৪ জুন পর্যন্ত সাত দফায় ভোট হবে দেশে। ফলে চাইলেও ভোটের মুখে পুরী যেতে পারবেন না পর্যটকরা।
কেন পুরী যাওয়ার প্ল্যান ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা?উল্লেখ্য, ওডিশায় চার দফায় লোকসভার ভোটগ্রহণ হবে। ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। এর মধ্যে পুরীতে ভোট রয়েছে দেশের ষষ্ঠ দফা অর্থাৎ ২৫ মে। তার দু'তিনদিন আগে থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য কিছুটা ব্যাহত হয় পর্যটন। অগত্যা ঝামেলা এড়াতে সে সময়টা পুরী বেড়ানোর পরিকল্পনা বাতিলই করতে হচ্ছে অধিকাংশকে। আর্থিক ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও।
ইতিমধ্যেই ভোটের আগে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার পর্ব। এপ্রিল এবং মে মাসে এই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ আরও তুঙ্গে উঠবে। হেভিওয়েটরা এক এক করে প্রত্যেক রাজ্যে ভোটের প্রচারে হাজির হবেন। ফলে একাধিক রুট, এলাকায় নানা সীমাবদ্ধতা এবং নিয়ম জারি করা হবে। ভোটের কাজের জন্য গাড়ির সংখ্যা কমতে শুরু করবে ভোট আসার এক সপ্তাহ আগে থেকেই। গাড়ি ম্যানেজ করতেও পারলেও গন্ডগোলে ফেঁসে যাওয়া আশঙ্কায় পর্যটকরা আর সেভাবে পুরীমুখো হতে চাইছেন না। এর জেরে পর্যটন ব্যবসা যে মার খেতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদেরওষষ্ঠ দফায় অর্থাৎ ২৫ মে হবে পুরীর ভোট। এ ছাড়াও ওডিশায় আরও চারদিন ভোট রয়েছে। ফলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে প্রচার চলবে ওডিশা জুড়ে। পুরী লোকসভা কেন্দ্রের জন্যও শাসক-বিরোধী একাধিক পরিকল্পনা সাজাবেন। মে মাসের শেষ অংশ পুরীতে ভোট পড়ায় গোটা এপ্রিল এবং মে মাস জুড়েই ভোটের উত্তাপ বজায় থাকবে এলাকায়। ফলে পর্যটন ব্যবসা বড়সড় ধাক্কার মুখে পড়তে চলেছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোটের জন্য পর্যটকদের হার কমবে।
রথযাত্রার অপেক্ষাযদিও জগন্নাথধাম দর্শনের ক্ষেত্রে কোনও বাধাই কাজ করবে না বলেও মত ব্যবসায়ীদের একাংশের। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই দর্শনার্থীরা জগন্নাথদেবের দর্শনে ছুটে আসেন বলে মত তাঁদের। আবার ভোটের বাজার অনেক তাবড় রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদেরও আনাগোণা লেগে থাকতে পারে পুরীর মন্দিরে। সে ক্ষেত্রেও সাধারণ পুণ্যার্থীদের জন্য একাধিক বিধিনিষেধ জারি হতে পারে এপ্রিল-মে মাস জুড়ে। ফলে জুনের ১০ তারিখের আগে পর্যটন ব্যবসার হাল ফিরবে না বলেই মনে করছেন পুরীর হোটেল ও গাড়ি ব্যবসায়ীরা। এরপরেই দেশে বর্ষাকাল শুরু হয়ে যাবে। ফলে সে সময় পুরী বেড়ানোর হিড়িক কিছুটা হলেও কমে যায় দর্শকদের মধ্যে। যদিও একমাত্র আশার আলো রথযাত্রা উৎসব। এ বছর উৎসব পড়েছে ৭ জুলাই। ফলে সেটিকে কেন্দ্র করে ফের লাখ লাখ দর্শনার্থী পৌঁছবেন পুরীতে। সে সময় পর্যটনের হাল ফেরার সম্ভাবনা প্রবল।