• Cyber Crime : খাওয়া-ঘুমও বন্ধ? সাইবার ক্রাইমে টার্গেট ইন্ডিয়ানদের
    এই সময় | ০১ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: একসঙ্গে ৬৭ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব? সিনিয়র এক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর তরফে সাইবার প্রতারণার অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে ওডিশা পুলিশ। রৌরকেল্লা থেকে শুরু হয় অপারেশন। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি সাইবার-ক্রাইম চক্রে জড়িত সন্দেহে গত ৩০ ডিসেম্বর মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ-গোয়েন্দারা।কম্বোডিয়া থেকে হায়দরাবাদে পা রাখা মাত্রই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কর্তারা। তখনই একটু একটু করে খোলস খুলতে থাকে কম্বোডিয়া কাণ্ডের! এখন জানা যাচ্ছে, সেখানে জালিয়াতির শিকার হয়ে আটকা পড়ে আছেন কয়েক হাজার ভারতীয় তরুণ। অভিযোগ, তাঁদেরই দিয়েই জোর করে বেছে-বেছে ভারতীয়দের উপর সাইবার জালিয়াতি করানো হচ্ছে।৉৉৉৉৉৉৉৉

    কী ভাবে? গত তিন মাসে আড়াইশো জনকে দেশে ফিরিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তাঁদের কম্বোডিয়া চ্যাপ্টার নিয়ে। রীতিমতো টার্গেট দিয়ে রোজ তাঁদের নাকি ১২ ঘণ্টা ধরে খাটানো হতো। জালিয়াতির ‘টার্গেট’ পূরণ না-হলে খাওয়া, ঘুম সব বাদ। সদ্য দেশে ফেরা স্টিফেন নামের এক আইটিআই ডিগ্রিধারীর কথায়, ‘ম্যাঙ্গালুরুর এক এজেন্ট আমাকে কম্বোডিয়া ডেটা এন্ট্রির কাজের অফার দিয়েছিল। একসঙ্গে আমরা তিন জন গিয়েছিলাম। খটকা লেগেছিল ইমিগ্রেশন চেকিংয়ের সময়ে। বলা হয়েছিল, আমরা নাকি ট্যুরিস্ট ভিসায় কম্বোডিয়া যাচ্ছি!’

    কম্বোডিয়ায় পৌঁছনোর পরে তাঁদের তিন জনের ইন্টারভিউ নেন এক চিনা বস। ইন্টারপ্রিটার ছিলেন এক মালয়েশীয়। স্টিফেনের কথায়, ‘আমাদের টাইপিং স্পিডও দেখে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ করতে বলা হলো, তা আদতে ভারতীয়দের ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে সাইবার জালিয়াতির ‘শিকার’ খোঁজা।’
  • Link to this news (এই সময়)