Gravity Hole Of The Indian Ocean : ভারত মহাসাগরের মাঝে বিশাল গর্ত! এটাই কী ‘নরকের দরজা’?
এই সময় | ০১ এপ্রিল ২০২৪
ভারত মহাসাগরের নীচে লুকিয়ে আছে অনেক অনেক রহস্য। তারই মধ্যে অন্যতম হল গ্র্যাভিটি হোল। ভারত মহাসাগরের নীচে লুকিয়ে আছে বিশাল বড় গর্ত। কিন্তু কোথা থেকে এল এই গর্ত? পেছনেই বা কী আছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর এবার সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা। জলস্তর, মহাকাশ, স্থলভাগ সব ক্ষেত্রেই রয়েছ অনেক অজানা তথ্য। এই তথ্য বের করতে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা। সেরকমই এক রহস্যের উত্তর এবার খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।ভারত মহাসাগরে খোঁজ মিলেছে এক বিশালাকৃতি গর্তের। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার ঠিক দক্ষিণে রয়েছে দৈত্যাকার গর্তটি। এই গর্তকে গ্র্যাভিটি হোল বা অভিকর্ষীয় গহ্বরও বলা হয়। ৩০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে আছে গর্তটি। সম্প্রতি একটি স্যাটেলইট ছবি থেকে খোঁজ মিলেছে গর্তটির। এই এলাকায় মাধ্যাকর্ষণ এতটাই কম যে এই এলাকার জলস্তর প্রায় ৩২৮ ফুট নীচে নেমে গেছে। এই গর্তটিকে নরকের দরজা নাম দেওয়া হয়েছে।
এই রহস্যের উ্তর খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসা লাভার স্তূপ এর জন্য দায়ী। আগ্নেয়গিরি গঠনের জন্য যে ম্যাগমা দায়ী সেই ম্যাগমার জন্যই তৈরি হয়েছে এই গর্তটি। কারণ জানার জন্য গবেষকরা একটি সুপার কম্পিউটার ব্যবহর করেছেন। বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করে জানা গেছে যে, এই এলাকাটি প্রায় ১৪ কোটি বছর আগে গঠিত হয়েছিল। গবেষণার ফল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারে প্রকাশিত হয়।
১৯৪৮ সালে এই জায়গাটি আবিষ্কারের পর থেকেই এর পেছনের রহস্যের খোঁজ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তবে সাফল্য এসেছে এখন। পাঁচটি কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা গত ১৪০ বছরে এই জায়গার টেকটোনিক আন্দোলন কীভাবে ঘটছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন।
লক্ষ লক্ষ বছর আগে ভারত একসময় আফ্রিকার অংশ ছিল। পরে সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের দিকে চলে যায়। এই অংশটি এগিয়ে যায় এবং প্রাচীন টেথিস সাগরের সামুদ্রিক বিছানাটি ম্যান্টেলের নীচে আসতে শুরু করে। এভাবে ভারত মহাসাগর তৈরি হতে থাকে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রায় দু’কোটি বছর ধরে এই প্রক্রিয়াটি চলে। সেইসময় টেথিস মহাসাগর যখন পৃথিবীর কোলে হরিয়ে যেতে থাকে তখন প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে সেই জায়গার মাঝে বেশ কিছুটা জায়গা খালি থেকে যায়।