Narendra Modi On Electoral Bonds : লোকসভার আগে নির্বাচনী বন্ড ইস্যু বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা? মুখ খুললেন মোদী
এই সময় | ০১ এপ্রিল ২০২৪
সুপ্রিম কোর্টের নজিরবিহীন রায়ের পর থেকেই দেশে খবরের শিরোনামে ইলেকটোরাল বন্ড। কোন দল নির্বাচনী বন্ড থেকে কত টাকা পেয়েছে, কোন শিল্পপতি সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী বন্ড কিনেছে, তা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। SBI-এর দেওয়া তথ্য বলছে, দেশে সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী বন্ড থেকে অর্থ পেয়েছে BJP। যা নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। এর কোনও প্রভাব কি লোকসভা ভোটে পড়বে? নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন খোদ নরেন্দ্র মোদী।নির্বাচনী বন্ড ইস্যু কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে জোর ধাক্কা? এমনটা মানতে নারাজ নমো। তাঁর কথায়, কোনও সিস্টেমই নিখুঁত নয়। গাফিলতি শুধরে নেওয়ার পরিসর রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি।
মোদীর হুঁশিয়ারিএখানেই শেষ নয়, নির্বাচনী বন্ডকে হাতিয়ার করে যারা লাফাচ্ছে, শীঘ্রই তারা এর ফল ভোগ করবে বলে হুঁশিয়ারি মোদীর। রবিবার থানটি টিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আপনারাই বলুন, আমরা কী এমন করেছি যার জন্য ধাক্কা পেতে হবে? আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যারা এই নির্বাচনী বন্ড ইস্যু নিয়ে লাফাচ্ছে এবং গর্বিত অনুভব করছে, তাদের শীঘ্রই ফল ভোগ করতে হবে।'
'শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে'নরেন্দ্র মোদী টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, '২০১৪ সালের আগে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলি যে অর্থ পেয়েছিল তার কোনও হিসেব পাওয়া যায়নি। আমি সেই সকল পণ্ডিত ব্যক্তিদের প্রশ্ন করতে চাই, ২০১৪ সালের আগে যে ভোটগুলি হয়েছিল, তাতেও নিশ্চয়ই অর্থের প্রয়োজন পড়েছিল। এমন কোন এজেন্সি আছে যা বলতে পারবে সে সময় অর্থের সংস্থান কোথা থেকে হয়েছিল? তারপর সেই অর্থ কোথায় গিয়েছিল? আমাদের সরকার নির্বাচনী বন্ড তৈরি করেছিল তাই আজ সকলে জানতে পারছেন কোন দল কত পরিমাণ অর্থ পেয়েছে। অর্থ কার হাত থেকে কার কোষাগারে গিয়েছে, তার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে। কোনও ব্যবস্থাই সম্পূর্ণ সঠিক হয় না। গাফিলতি থাকেই। তবে সেই গাফিলতিগুলি শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে।'
নির্বাচনী বন্ড কী?নির্বাচনী বন্ড নগদের মতো 'বিয়ারার' অর্থ। এই বন্ডের মালিকানা বিষয়ক কোনও তথ্য রাখা হয় না। যার কাছে বন্ড থাকে মালিকানা তার হয়। এক হাজার, ১০ হাজার, এক লাখ, ১০- লাখ, এক কোটি টাকার বন্ড কিতে পাওয়া যায়। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কিছু নির্দিষ্ট শাখায় বিক্রি হয় এই বন্ড। কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা বা কর্পোরেট কোম্পানি বন্ড কিনে পছন্দ মতো কোনও রাজনৈতিক দলকে দান করতে পারে। ব্যাঙ্কে থাকা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বন্ড ভাঙানো যায়। ২০১৮ সালের জানুয়রি মাসে অর্থমন্ত্রক নির্বাচনী বন্ড শুরু করে।