এখনও ভোট হয়নি অরুণাচল প্রদেশে। তবে বিজেপির জন্য খুশির খবর। কারণ ভোটের আগেই বিনা প্রতিদন্দ্বীতায় জেতার দাবি করছে বিজেপি। আগামী ১৯ এপ্রিল অরুণাচল প্রদেশে ভোের দিন ঠিক হয়েছে। অররণাচলের যে কেন্দ্র থেকে সেখানের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেয়নি। সেক্ষেত্রে ওই আসন থেকে আগাম জয়ী হয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।তাওয়াং জেলার মুক্তো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন পেমা খান্ডু। কিন্তু ওই বিধানসভা থেকে আর কেউই মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি এই কেন্দ্র থেকে আগাম জয়ী হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিতেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ১০ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।
অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি ইউনিট ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে দশটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ের দাবি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু শনিবার নিজের এবং ডেপুটি সিএম চৌনা মেইন সহ ১০ জন বিজেপি প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচনের জন্য রাজ্যের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্যই বিজেপির এই জয় সম্ভব হয়েছে। খান্ডু আরও বলেন, যে ১০ জন বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনের মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এই জয় একটি ইতিহাস রচনা করেছে। পেমা আরও বলেন, জয়ী সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের জনগণের কাছে তিনি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। যেখানে বিজেপি প্রার্থীরা বিপুল সমর্থন পেয়েছেন। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি মানুষের সুদৃষ্টিভঙ্গির কারণে এই জয় এসেছে বিজেপির। তিনি আরও বলেছেন, যে জনগণের এই সমর্থন তিনি এবং তাঁর দলীয় সহকর্মীরা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। । জয়ের পর পেমা খান্ডু বলেন, জনতার অপ্রতিরোধ্য সমর্থন সততার সঙ্গে রাজ্যের জনগণের সেবা করার জন্য গভর দায়িত্ববোধ থেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাঁরা।
জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে ছয়টি বিধানসভা কেন্দের একক মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয় বাকি চারটিতে বিরোধী প্রার্থীরা নিজেদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। সীমান্তের কাছে মুক্তো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসেবে পেমা খান্ডুর এটি চতুর্থ মেয়াদ। এখনো পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় বার তিনি চৌখাম কেন্দ্র থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।