এই সময়, শিলিগুড়ি: এতদিন জলঘোলা করছিলেন তিনি! রবিবার দিল্লি ফেরত রাজু বিস্ত সিংমারিতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করতেই সেই চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে গেল। রবিবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরে বিমল গুরুং জানিয়ে দিলেন, চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকেই সমর্থন করবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।৩ এপ্রিল রাজু বিস্ত দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। এ দিন বিজেপিকে সমর্থনের কথা ঘোষণার সময়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের ওই দিন দার্জিলিংয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিমল। তবে তিনি বিজেপিকে সমর্থনের ঘোষণার পরেই পাহাড় জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সেই বিজেপিকেই যদি সমর্থন করতে হবে তাহলে কেন তিনি ২০২০ সালে পাহাড়ে ফিরে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন।
কেন বার বার বলেছিলেন, যাঁরা গোর্খাদের পাশে দাঁড়াবে তাঁদেরই সমর্থন জানাবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বিমল অবশ্য জানিয়েছেন, পাহাড়ের মানুষের স্বার্থেই বিজেপির সঙ্গে থাকতে হবে। বিমলের ভোল পাল্টানো নিয়ে জিএনএলএফ নেতা মহেন্দ্র ছেত্রীর মন্তব্য, 'ওঁর রাজনীতি বোঝা কঠিন। কিসের টানে কখন যে কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটা একমাত্র তিনিই জানেন।'
গত কয়েক মাস ধরে পাহাড়ের অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল, লোকসভা নির্বাচনে কোন দলকে সমর্থন করবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বিমল শেষপর্যন্ত বিজেপিকে সমর্থন জানানোয়, তাঁর লড়াই আরও সহজ হল বলে মনে করছেন বিজেপির কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তিনি বলেন, 'পাহাড়ের জন্য কার কতটা দরদ সেটা বিমল গুরুংয়ের ঘোষণায় প্রমাণিত হয়ে গেল। আমি যখন পাহাড়ের গোর্খাদের স্বাশাসনের জন্য লড়াইয়ে নেমেছি তখন বিমল গুরুং বিজেপির পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন।'
বিষ্ণুপ্রসাদ এ বার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম নির্দল প্রার্থী। জিটিএ চিফ অনীত থাপা বলেছেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপি আর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা একসঙ্গে লড়াই করেছে। হেরেওছে। লোকসভা নির্বাচনেও হারবে।'