• আজ থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আরও টাকা, আপনি পাচ্ছেন তো? আবেদনের প্রক্রিয়া রইল
    আজ তক | ০১ এপ্রিল ২০২৪
  • Lakshmi Bhandar Scheme: লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সাধারণ বাজেট লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিল মমতা  সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল মহিলাদের মানোন্নয়নের জন্য এবার ৫০০ টাকার বদলে মিলবে ১ হাজার টাকা। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের চালু করা এই প্রকল্পের বর্ধিত অর্থ নয়া অর্থবর্ষে কার্যকর হবে। অর্থাৎ ১ এপ্রিল , সোমবার মানে আজ থেকে তা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। যদিও ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ। আর সেই কারণে এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে আরও এক দিন সময় লাগতে চলেছে। 

    রাজ্যের ২ কোটি মহিলা এই সুবিধা পাচ্ছেন
    সোমবার থেকে এই প্রকল্পে সাধারণ সম্প্রদায়ের মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। তফসিলি জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা ১২০০ টাকা করে পাবেন। আগে এই প্রকল্পে সাধারণ সম্প্রদায়ের মহিলারা ৫০০ টাকা ও তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা ১০০০ টাকা করে পেতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সফল প্রকল্প হল এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন জয়ের পর ফের একবার মসনদে বসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে প্রথমে জেনারেল কাস্টের মহিলাদের জন্য মাসিক ৫০০ টাকা এবং এসসি এসটি মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এর ফলে রাজ্যের মহিলাদের একটা বড় অংশের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছিল।  এবার থেকে রাজ্যের যে সমস্ত মহিলা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ৫০০ টাকা করে পেতেন  তাঁরা পাবেন ১০০০ টাকা করে। অন্যদিকে, যে সমস্ত উপভোক্তারা ১০০০ টাকা করে পেতেন, তাঁরা পাবেন ১২০০ টাকা। গত মার্চ মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য খরচ করা হয়েছিল ১ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে সেই খরচ বেড়ে হতে চলেছে ২ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। রাজ্যের দুই কোটির বেশি মহিলা উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে এই বর্ধিত টাকা পৌঁছবে।

    কীভাবে নাম তুলবেন?
    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেশির ভাগ প্রকল্পেই অনলাইন এবং অফলাইন দুই রকম ভাবেই আবেদন করা যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সময়ে নানা জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবিরের। কেউ যদি অফলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে চান, তা হলে তাঁকে দুয়ারে সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পে যেতে হবে যেতে হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পেন থেকে আবেদনকারীকে একটি অ্যাকটিভ ইউনিক নম্বর ফর্ম দেওয়া হবে। এ বার সেই ইউনিক ফর্মটি ফিল আপ করে উল্লিখিত নথি সমেত আবেদনপত্রে কপি সেই ক্যাম্পেই জমা করতে হবে। অনলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে এক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্টারনেট পরিষেবা থাকা প্রয়োজন। এর জন্য প্রথমে গুগল ক্রমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লিখলেই সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবসাইটিটি চলে আসবে। তা সত্ত্বেও কেউ যদি সরাসরি ওয়েবসাইটেই ঢুকতে চান, তা হলে এই https://wb.gov.in/  লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন।  এ ছাড়া কেউ আবার সরাসরি পি ডি এফ ফরম্যাটে ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ডাউনলোড করার জন্য https://drive.google.com/file/d/1e_5Bn9elgSg79nUk_RelQgRR8RQG8DSn/view  লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন। এই  ফর্মটির একটি প্রিন্ট আউট বের করে সঠিক তথ্য দিয়ে তা পূরণ করতে হবে। যেখানে ছবি লাগানোর জন্য বক্স চিহ্নিত করা আছে, সেখানে আবেদনকারীর ছবি লাগাতে হবে।  তার পর প্রয়োজনীয় নথি সমেত আবেদনের পত্রটি জমা করতে হবে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস কিংবা ওয়ার্ডে। এখানেই শেষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতি।

    কী কী নথি জমা দিতে হবে সুবিধা পাওয়ার জন্য?
    লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু নথি জমা দিতে হবে আবেদনকারীকে। আবেদনকারীর আধার কার্ডের ফোটো কপি লাগবে।  আবেদনকারীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা বাঞ্ছনীয়। তাই আবেদনকারীকে সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ফোটো কপি জমা করতে হবে। আবেদনকারীর আবেদনপত্র যাচাই করে তা নির্বাচিত হলে অনুদানের টাকা মাসে মাসে সরাসরি পৌঁছে যাবে আবেদনকারীর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। তাই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জমা করতে হবে আবেদনকারীকে। সেই কারণে ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতার ফোটো কপি জমা করলেও হবে। আবেদনকারীর পরিচয়ের প্রমাণ স্বরূপ নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গেই আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর লিখে দেওয়া বাধ্যতামূলক।

    অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বুঝবেন যেভাবে?
     লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmi Bhandar Scheme) প্রাপকদের তালিকায় আপনার নাম আছে কী-না বা এই প্রকল্পের টাকা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে কী-না  তা অনলাইনে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কয়েকটি সহজ ধাপে জেনে নেওয়া যায়।  এর জন্য প্রথমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmi Bhandar Scheme) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অর্থাৎ socialsecurity.wb.gov.in-এ গিয়ে প্রাপকরা নিজেদের আবেদনের স্থিতি এবং অর্থপ্রদানের স্থিতি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, একজন মহিলা যিনি এই রাজ্যের বাসিন্দা, বয়স ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং সরকারি কর্মচারি নন, তিনি এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য যোগ্য। তাই socialsecurity.wb.gov.in-এ গিয়ে আবেদনের স্থিতি দেখার পাশাপাশি দুয়ারে সরকার' (Duare Sarkar) ক্যাম্পে গিয়েও এ বিষয়ে তথ্য পেতে পারেন। 
  • Link to this news (আজ তক)