জলপাইগুড়ির ঝড় নিয়ে কমিশনের কপালে চিন্তার ভাঁজ, তড়িঘড়ি ৩ জেলার DEO-দের সঙ্গে বৈঠক
এই সময় | ০১ এপ্রিল ২০২৪
উত্তরবঙ্গ নিয়ে, উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফায় নির্বাচন হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের তিন জেলায়। তার আগে উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তাই আজই কলকাতার CEO অফিসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। মূলত তিন জেলার ডিইওদের নিয়েই এই বৈঠক। এই তিন জেলা হল, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার।বৈঠক হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। তিন জেলার ডিইওরা যেমন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে থাকবেন, তেমনই কলকাতার CEO অফিসের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা ও দিল্লির নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা থাকবেন। উত্তরবঙ্গের রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি কেমন? কোন কোন বুথ ক্ষতিগ্রস্থ? বুথ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে বিকল্প কোনও বুথের ব্যবস্থা করা যায় কিনা? যেসমস্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উত্তরবঙ্গের এইসব জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা কী রকম কাজ করছেন? এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় ভোট হওয়া সম্ভব কি না? এই ধরনের যাবতীয় বিষয় বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছ।
রবিবার মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। উড়ে গিয়েছে এলাকায় একের পর এক ঘরে চাল ও দোকানের টিন। পরপর ভেঙে পড়তে দেখা যায় গাছ। ভেঙে পড়া গাছ চাপা পড়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সম্পত্তির। ঝড়ের দাপটে মৃত্যু হয়েছে একাধিক জনের, আহতও হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝড়ের তাণ্ডব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক খাবারের হোটেলের কর্মী জানান, ঝড়ে সব টিন উড়ে গিয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে সব খাবারদাবার। ভেঙে গিয়েছে দোকানের ফ্রিজ। ঝড়ে প্রায় লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেই দাবি তাঁর। অন্যদিকে আবার ঝড়ে বেশকিছু গাছও পড়ে গিয়েছে।গাছ পড়ে কার্যত দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে একটি টোটোও। ঝড়ের সেই বিধ্বংসী রূপের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
খবর পেয়ে রাতেই জলপাইগুড়িতে পৌঁছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে দেখা যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শিলিগুড়ির পুরনিগের মেয়র গৌতম দেব সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে ঘটনায় প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করায়, প্রশাসনিক কর্তাদেরও প্রশংসা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।