কঙ্গনা রানাউতকে 'যৌনকর্মী' বলার খেসারত। কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেতকে সেন্সর করল নির্বাচন কমিশন। এর আগেই তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাবদিহি চেয়েছিল কমিশন। ২৯ মার্চের মধ্যে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।জবাব শোনার পর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত সুপ্রিয়া শ্রীনেতের মন্তব্যে একজন মহিলার সম্মানহানি করা হয়েছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে নারীকে। এর শাস্তি স্বরূপ সুপ্রিয়া শ্রীনেতকে সেন্সর করা হল। সোমবার এই মর্মে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও একটি চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই সেন্সরশিপের জেরে লোকসভা ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন কংগ্রেস নেত্রীর সমস্ত বক্তব্যে নজর রাখা হবে বলেই অনুমান। আগামীদিনে ভোটের প্রচারের সময় নিজের উচ্চারিত শব্দবন্ধ নিয়ে সতর্ক হতে বলা হয়েছে সুপ্রিয়া শ্রীনেতকে।
ঠিক কী বলেছিলেন সুপ্রিয়া শ্রীনেত?'মাণ্ডিতে কত করে দর চলছে?' কঙ্গনা রানাউতের একটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিয়া শ্রীনেত। যা নিয়ে তাঁর উপর খড়গহস্ত হয় BJP। একাধিক BJP নেতা এই নিয়ে কমিশনের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনে নালিশও করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তারপরই কড়া ভাষায় সুপ্রিয়া শ্রীনেতকে সতর্ক করে শোকজ করে কমিশন।
সুপ্রিয়া শ্রীনেতের সাফাইসুপ্রিয়া শ্রীনেতের দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস যাদের কাছে রয়েছে, তারা কোনওভাবে এই অশালীন পোস্ট করে থাকতে পারেন। তিনি নিজে তা করেননি এবং বিষয়টি নজরে আসতে তা ডিলিট করে দেন। এই ঘটনার পরই সুপ্রিয়া শ্রীনেতকে পুনরায় লোকসভা ভোটে আর দাঁড় করায়নি হাত শিবির। তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিয়েছিলেন BJP প্রার্থী তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও।
সুপ্রিয়া শ্রীনেতকে দেওয়া কমশনের চিঠি
দিলীপ ঘোষকেও সেন্সরসুপ্রিয়া শ্রীনেতের ন্যায় দিলীপ ঘোষকেও সেন্সর করল নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই BJP-র বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থীকে সেন্সর করার হয়েছে। তাঁকে আগামীদিনে নিজের বক্তব্য নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থীর পাশে দাঁড়ায়নি দলও। BJP-র তরফে থেকেও তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। সাফাই হিসেবে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত ঝগড়া নেই। তাঁর সম্পর্কে আমার মনে কোন ক্লেশ নেই। তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য যে রাজনৈতিক বক্তব্য বারবার বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় আমি তার প্রতিবাদ করেছি। আমার ভাষা, শব্দ প্রয়োগ নিয়ে বহু লোকের আপত্তি আছে। আমার পার্টি বলেছে এটা অসংশোধিত। যদি তাই হয় আমি তার জন্য দুঃখিত।'
একজন মহিলার সম্মানহানি এবং তাঁর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগেই মূলত নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখে পড়লেন এই দুই নেতা।