• Congress Income Tax Notice: ভোটের আগে কংগ্রেসকে 'রেহাই'! 'এখনই ১৭০০ কোটি আদায় নয়', জানাল আয়কর বিভাগ
    এই সময় | ০১ এপ্রিল ২০২৪
  • লোকসভা ভোট পর্যন্ত খানিক স্বস্তি কংগ্রেসের। ভোট পর্যন্ত আয়কর বিভাগের ধরানো নোটিশের প্রেক্ষিতে বিপুল অঙ্কের টাকা মেটানোর চিন্তা দূর হল। লোকসভা ভোট পর্যন্ত কংগ্রেসের কাছ থেকে কোনও টাকা আদায় করা হবে না বলে জানালো আয়কর বিভাগ।আয়কর দফতরের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে বলেন, 'কংগ্রেসের কাছ থেকে ১৭০০ কোটি টাকা আদায়ে লোকসভার আগে কোনও পদক্ষেপ করবে না আয়কর দফতর। ভোটের আগে যাতে কোনও রাজনৈতিক দলের সমস্যা না হয় সেকথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। ভোটের পরেই জরিমানা আদায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

    উল্লেখ্য, তিন দিনের মধ্যে আয়কর দফতর কংগ্রেসকে ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকার নোটিশ পাঠিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের বাকি আর মাত্র তিন সপ্তাহ। তার আগে তিন দিনের মধ্যে আয়কর দফতর কংগ্রেসের থেকে ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা দাবি করে নোটিশ পাঠিয়েছে। কংগ্রেসের স্থাবর, অস্থাবর মিলিয়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণই ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। যার অর্থ, এই বিপুল পরিমাণ আয়করের দাবি মেটাতে হলে দেউলিয়া হয়ে পড়বে কংগ্রেস। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য কংগ্রেসকে জরিমানা এবং সুদ-সহ কংগ্রেসকে ১৭০০ কোটি টাকা দিতে বলা হয়েছে আয়কর দফতরের তরফ থেকে। তবে সোমবার আয়কর দফতরের তরফে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানান, লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের থেকে এই টাকা আদায়ে কোনওরকম চাপ দেওয়া হবে না। এই সংক্রান্ত মামলায় জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখার সওয়াল করা হয়েছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নির্বাচনের পরেই নিতে চাইছে আয়কর দফতর।

    আয়কর দফতরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে কংগ্রেসের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ,সরকার আয়কর বিভাগকে অপব্যবহার করে কংগ্রেসকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করছে লোকসভা নির্বাচনের আগে। শনিবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে বলেন, 'নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন কোনও দল সমস্যা পড়ুক তা চায় না আয়কর বিভাগ। আসলে কংগ্রেস হাইকোর্টের ২০১৬ সালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। যার ভিত্তিতে কংগ্রেসকে নোটিশ ধরিয়েছিল আয়কর বিভাগ।

    উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছে, কংগ্রেসকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়ে, বিরোধী নেতাদের জেলে পুরে আজ নিজেরা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা চাঁদা পকেটে পুরে বিজেপি তথা মোদী সরকার লোকসভা নির্বাচনে জয় হাসিল করতে চাইছে। রাহুলের কথায়, 'গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে নরেন্দ্র মোদী জনতার থেকে নিজের মতো সরকার বাছাইয়ের সুযোগ কেড়ে নিতে চাইছে।'
  • Link to this news (এই সময়)