• জীবনযুদ্ধের পর ক্রিকেটেও জয়ে ফিরলেন পন্থ, চেন্নাইয়ের প্রাপ্তি ধোনি...
    আজকাল | ০১ এপ্রিল ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: জীবনযুদ্ধে জেতার পর বাইশ গজেও জয়ে ফিরলেন ঋষভ পন্থ। জোড়া হারের ধাক্কা কাটিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস। রবিবার বিশাখাপত্তনামে আইপিএল জয়ীদের বিরুদ্ধে ২০ রানে জিতল সৌরভ, পন্টিংয়ের দল। ঋষভ পন্থ রানে ফিরতেই, জয়ে ফিরল দল। চলতি আইপিএলে দিল্লির প্রথম জয়। এদিন বাঁ হাতি উইকেটকিপার ব্যাটারের পুরনো ঝলক দেখতে পাওয়া যায়। ৩২ বলে ৫১ করেন পন্থ। তাতে ছিল ৩টি ছয়, ৪টি চার। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রান তোলে দিল্লি। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস। নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নেন মুকেশ কুমার। মোট ৩ উইকেট পান বাংলার পেসার। ভাল বল করেন খলিল আহমেদও। জোড়া উইকেট তুলে নেন। তবে রবিবার রাতে বিশাখাপত্তনামের দর্শকদের প্রাপ্তি ধোনির ইনিংস। আধুনিক ক্রিকেটের সেরা ফিনিশারের একটা ঝলক দেখতে পাওয়া যায়। বুড়ো হাড়েও ভেল্কি। এবারের আইপিএলে প্রথমবার ব্যাট হাতে নেমেই ঝড় তোলেন। ১৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত। একেই বলে মহেন্দ্র সিং ধোনি। যিনি ফুরিয়েও ফুরোবেন না। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ঋষভ পন্থ। টপ থ্রি ব্যাটারের কাঁধে ভর করেই রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় দিল্লি। প্রথম উইকেটই ৯৩ রান তোলেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং পৃথ্বী শ। ৩টি ছয়, ৫টি চারের সাহায্যে ৩৫ বলে ৫২ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। একটুর জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন পৃথ্বী। ২৭ বলে ৪৩ রান করে আউট হন। ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ৪টি চার। ওয়ান ডাউনে নেমে দুরন্ত পন্থ। শুরুটা মন্থর করলেও পরের দিকে হাত খোলেন। বাকিরা রান পায়নি। তিন উইকেট নেন মাথিশা পথিরানা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চেন্নাই। ৭ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায়। ফিরে যান দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (১) এবং রাচিন‌ রবীন্দ্র (২)। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন অজিঙ্ক রাহানে (৪৫) এবং ড্যারেল মিচেল (৩৪)। এই দু"জন প্যাভিলিয়নে ফিরতেই চেন্নাইয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। রান পাননি ছন্দে থাকা শিবম দুবে (১৮)। চেন্নাইয়ের বোলিংয়ের প্রশংসা করতেই হবে। বিশেষ করে খলিল এবং মুকেশের। এক ওভারে ব্যাক টু ব্যাক বলে উইকেট পান বাংলার পেসার। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও হয়নি। হারা ম্যাচে প্রাণ ফেরান মহেন্দ্র সিং ধোনি। "থালা" নামতেই বদলে যায় স্টেডিয়ামের রং। ঋষভদের নয়, মনে হয় চেন্নাইয়ের হোম ম্যাচ। গ্যালারিতে ওঠে ধোনির নামে ধ্বনি। এই ভালবাসার মর্যাদা দেন মাহি। প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেন। দ্বিতীয় বলে আউট হতে পারতেন। কিন্তু মুকেশের বলে ক্যাচ ফেলেন খলিল। তাতে উচ্ছ্বসিত বিশাখাপত্তনামের গ্যালারি। কে বলবে এটা দিল্লির হোম ম্যাচ! সংক্ষিপ্ত ইনিংসে তিনটে ছক্কা এবং চারটে চার মারেন। চতুর্থ উইকেট না পেলেও ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ম্যাচের নিষ্পত্তি করেন মুকেশ। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে চার এবং এক হাতে ছক্কা হাঁকান ধোনি। প্রাক্তন নেতার পুরনো ঝলক দেখা যায়। নোখিয়ার শেষ ওভারে ২০ রান তোলেন ধোনি। আট নম্বরে নেমে ১৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মারকুটে ইনিংসে ছিল ৩টি ছয়, ৪টি চার। স্ট্রাইক রেট ২৩১.৩৫। এরপর হয়তো পাঁচবারের আইপিএল জয়ী অধিনায়ককে আগে নামানোর কথা ভাববে সিএসকে। রবিবাসরীয় রাতের ধোনিকে দেখে একটাই প্রবাদ মনে পড়ছে, "মরা হাতির লাখ টাকা।" 
  • Link to this news (আজকাল)