• তাপপ্রবাহের অ্যালার্ট ৫ জেলায়, বাঁচতে যা করণীয়, হাওয়া অফিসের স্পেশাল বুলেটিন
    আজ তক | ০১ এপ্রিল ২০২৪
  • দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায় আগামী কয়েক দিনে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েক দিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বাড়তে পারে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে বিকেলে স্পেশাল বুলেটিনে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ওই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি।দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    প্রধানত শুষ্ক পশ্চিমী বাতাসের কারণে তাপপ্রবাহের অবস্থা তৈরি হবে। দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) দক্ষিণের জেলাগুলিতে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩ দিন বাংলায় এবং পশ্চিমাঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকবে

    দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা:
    ১ এপ্রিল (হলুদ): দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া৷
    ২ এপ্রিল (হলুদ): দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া। 
    ৩ থেকে ৫ এপ্রিল-পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার এক বা দুটি জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলা। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

    সম্ভাব্য প্রভাব:
    ১. উচ্চ তাপমাত্রা.
    ২. তাপ সাধারণ মানুষের জন্য সহনীয় কিন্তু দুর্বল মানুষের জন্য মাঝারি স্বাস্থ্য উদ্বেগ যেমন শিশু,বয়স্ক, দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের সংস্পর্শে থাকা বা ভারী কাজ করা ব্যক্তিরা।
    ৩. সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে হিট ক্র্যাম্প, হিট ফুসকুড়ি হতে পারে।

    যা যা করবেন-
    ১. দীর্ঘায়িত তাপ এক্সপোজার এড়িয়ে চলুন.
    ২. হালকা ওজনের, হালকা রঙের, ঢিলেঢালা, সুতির কাপড় পরুন।
    ৩. আপনার মাথা ঢেকে রাখুন: একটি কাপড়, টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন।
    ৪. জলশূন্যতা এড়াতে তৃষ্ণার্ত না হলেও পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
    ৫. ওআরএস ব্যবহার করুন, ঘরে তৈরি পানীয় যেমন লস্যি, তোরানি (ভাতের জল), লেবুর জল, বাটারমিল্ক ইত্যাদি। শরীরকে  হাইড্রেট করুন।
    ৬. সরাসরি সূর্যালোক এড়াতে কর্মীদের সতর্ক করুন।
    ৭. দিনের শীতল সময়ের জন্য কঠোর কাজের সময়সূচী করুন।
    ৮. বহিরঙ্গন কার্যকলাপের জন্য বিশ্রাম বিরতির ফ্রিকোয়েন্সি এবং দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি।
    ৯. গর্ভবতী কর্মী এবং একটি চিকিৎসা অবস্থার শ্রমিকদের অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া উচিত

     
  • Link to this news (আজ তক)