• ভারতে বন্ধ হবে পেট্রল-ডিজেল গাড়ি, ডেডলাইন নিয়ে কী বললেন নিতিন গডকড়ী!
    ২৪ ঘন্টা | ০১ এপ্রিল ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পেট্রল-ডিজেলের ব্যবহার কমাতে দেশে জোর কদমে চালু হয়ে গিয়েছে বিদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার। দেশ বিদেশের বহু গাড়ি তৈরির কোম্পানি বাজারে ছেড়েছে ইলেকট্রিক গাড়ি ও বাস। দূষণহীন এই গাড়ি অনেকেই গ্রহণ করছেন সাদরে। কিন্তু প্রশ্ন পেট্রল-ডিজেলের ব্যবহার একেবারে কি বন্ধ করা সম্ভব? এর জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবাহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

    সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিতিন গডকড়ী বলেন, একশো শতাংশ সম্ভব। পেট্রল ডিজেলের ব্যবহার বন্ধ করা খুবই শক্ত কিন্তু অসম্ভব নয়। সেটা করাই আমার লক্ষ্য।দেশের গতি বজায় রাখতে বিদেশে থেকে বিপুল টাকার তেল আমদানি করতে হয় ভারতকে। জ্বালানি তেলের জন্য ভারত সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরানের উপরে নির্ভরশীল। এর জন্য ভারতের খরচ হয় বছরে ১৬ লাখ কোটি টাকা। ইলেকট্রিক যানবাহন চালু হলে ওই টাকা কৃষক ও গ্রামের উন্নতির জন্য ব্যবহার করা হবে। এতে দেশের জীবনযাত্রার মান বাডবে। এমনটাই জানিয়েছেন গডকড়ী। তবে ভারত তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে তা বলেননি মন্ত্রী।বৈদ্য়ুতিক যানবাহন দেশে আরও জনপ্রিয় করতে হাইব্রিড ভেহিকেলসের উপরে ৫ শতাংশ জিএসটি কমানো ও  ফ্লেক্স ইঞ্জিনের উপরে ১২ শতাংশ কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে  অর্থমন্ত্রকে। পাশাপাশি বায়োফুয়েল ব্য়বহার করে ফসিল ফুয়েলের উপরে নির্ভরতা কম করা যেতে পারে বলেন জানিয়েছেন গড়কড়ী।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছেন ২০০৪ সাল থেকেই বায়ো ফুয়েল বা পরিবর্ত জ্বালানির উপরে জোর দিচ্ছেন তিনি। আাগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে দেশে একটা বদল দেখা যাবে। তবে একেবারে কবে থেকে এর ব্যবহার বন্ধ হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয় কারণ এটা বলা খুবই শক্ত। আমি এমন একটি গাড়ি চড়ে ঘুরি যা চলে হাইড্রোজেনে। এখন বহু বাড়িতেই ইলেকট্রিক গাড়ি দেখা যায়। গত ২০ বছর ধরে যা আমি বলে আসছি তা এখন মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)