একদিকে যখন কয়েক মুহূর্তের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি, অন্যদিকে তখন ফের বিপর্যয় সিকিমে। বেড়াতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফেঁসে গেলেন পর্যটকরা। আর আবারও তাঁদের ত্রাতা হয়ে উঠল ভারতীয় সেনা। নাটকীয়ভাবে বরফে ঢাকা পাহাড়ি রাস্তায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করলেন জওয়ানরা।দুঃসাহসিক সেনাদুরন্ত অপারেশনের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার ত্রিশক্তি কর্পস পাঁচ পর্যটকের প্রাণ বাঁচাল। জানা গিয়েছে, পূর্ব সিকিমের কুপুপ এলাকায় আচমকাই তুষারপাত হয় রবিবার। যার জেরে মাঝপথে উলটে যায় একটি পর্যটক বোঝাই গাড়ি। আটকে পড়েন পর্যটকরা। কোনওভাবেই ফেরার পথ নির্ধারণ করতে পারছিলেন না তাঁরা। শেষ পর্যন্ত সেনার ত্রিশক্তি কর্পসের জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পর্যটক বোঝাই গাড়ি উদ্ধার করে। নাটকীয়ভাবে রেসকিউ অপারেশন চালান তাঁরা। পূর্ব সিকিমের উচ্চ পাহাড়ে ঘেরা এই এলাকা থেকে দুঃসাহসিক এই উদ্ধারকাজের জন্য ফের শিরোনামে ভারতীয় সেনা।
খারাপ আবহাওয়া সত্ত্বেও ত্রিশক্তি কর্পসের জওয়ানরা পূর্ব সিকিমের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। ফেঁসে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করে নামিয়ে নিয়ে আসা হয় নিকটবর্তী আর্মি পোস্টে। জানা গিয়েছে, আচমকা আসা তুষারপাতের মধ্যে পড়ে বেশ কিছু পর্যটক গুরুতর আহতও হয়েছেন। তাঁদের আর্মি পোস্টে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উদ্ধার হওয়া পর্যটকরা।
এদিকে, হোলির দিন সিকিমে বড়সড় বিপত্তি ঘটে। প্রবল দুর্যোগের জেরে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে ভয়াবহ ধস নামে। যার ফলে গ্যাংটক থেকে লাচুং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপদে পড়েন একাধিক পর্যটক। যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকার দুর্ভোগ হয় পর্যটকদের।
অন্যদিকে, বেহাল অবস্থা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কেরও। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ফলে দোল উৎসবে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন বহু পর্যটক। এখন তাদের ঘুরপথে যাতায়াত করতে হবে। উল্লেখ্য, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কটি শিলিগুড়ির বালাসন সেতু থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত চলে গিয়েছে। টানা বৃষ্টির জেরে বেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রবিঝোরা থেকে লিকুবীর পর্যন্ত। কয়েক কিলোমিটার রাস্তায় যে কোনও সময় পাহাড় থেকে সমানে বড় বড় পাথর খসে পড়ছে।