'আবাস হলে বাচ্চাগুলোকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হত না', তোপ অভিষেকের
এই সময় | ০১ এপ্রিল ২০২৪
উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে পৌঁছে যান অভিষেক। সেখানে জলপাইগুড়ির ঝড়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। চিকিৎসাধীন একটি শিশুর স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নেন অভিষেক।এদিন ঝড়ে আহত শিশুর প্রসঙ্গে টেনে ফের একবার আবাস প্লাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, '২০১৭-১৮ সাল থেকে যে আবাস প্লাস তালিকা তৈরি হয়েছিল, সমীক্ষা হওয়ার পর থেকে, যদি কেন্দ্রীয় সরকার প্রমাণ করতে পারে, ১০ পয়সা দিয়েছে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। ১৬ দিন হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির মাটি থেকে আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। সুকান্ত মজুমদার নিজে বলছেন, ফোন করে দেব, টাকা চলে আসবে। তাহলে টাকা বন্ধ করেছে কে? বিজেপি। দায় কার? যদি আবাস হত, বাচ্চাগুলোকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হত না। এদের মাথার ওপর আঘাত আসত না, চোট লাগত না। এর দায় কার? এর দায় একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি নেতাদের। যদি দিয়ে থাকেন শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।'
এদিন অভিষেক আরও বলেন, 'বিজেপির যে রাজ্য সভাপতি, তিনি থাকেন বালুরঘাটে। বালুরঘাট থেকে জলপাইগুড়ির দূরত্ব কত? ৩০০ কিলোমিটার। গাড়িতে আসতে সময় লাগে সাড়ে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। ঘটনাটি ঘটেছে সাড়ে ৪টের সময়। চাইলে ৮টা-৯টার মধ্যে আসতে পারতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন কলকাতায়, কালীঘাট থেকে জলপাইগুড়ির দূরত্ব ৬২০ কিলোমিটার। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ভুটান যেতে পারেন, বিভিন্ন সেমিনারে গিয়ে ভাষণ দিতে পারেন, বাংলায় ৫ বার রাজনৈতিক সভায় উপস্থিত হয়ে ভাষণ দিতে পারেন, মন্দির ঘুরতে পারেন, বিজেপির সভায় যেতে পারেন, আর মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন না?' অভিষেক বলেন, 'জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে আমাদের আশানরূপ ফল ২০১৯-এও হয়নি, ২০২১-এও হয়নি। তারপরেও প্রথম যে ছুঁটে এসেছেন, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
অভিষেক জানান, যাঁদের ঘর ভেঙেছে তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করবে। তবে আদর্শ আচরণ বিধি চলছে, তাই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে প্রশাসন যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। কার্যত একই কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। তিনিও গতকাল জলপাইগুড়ি এবং আজ আলিপুরদুয়ারের ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেন মমতা। একইসঙ্গে বিপর্যয় বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে যা যা ব্যবস্থা করার তা প্রশাসন করবে বলেও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।