• ভোট আসতেই বাজারে উড়ছে টাকা? রাজ্যে এখন‌ও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত নগদ অর্থ ৮০০০০০০০
    এই সময় | ০২ এপ্রিল ২০২৪
  • টাকার অঙ্কটা ১৬৯ কোটি। ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি নাকা চেকিংও চলছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে নগদ এবং অন্যান্য সামগ্রী। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর উদ্ধার হওয়া এই টাকার হিসাব রাখে কমিশনও। ভোট ঘোষণার কিছু আগে থেকেই হিসাব-বহির্ভূত নগদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে সক্রিয় নির্বাচন কমিশন। ১ এপ্রিল পর্যন্ত হিসাব-বহির্ভূত নগদ বাজেয়াপ্তে পরিসংখ্যান প্রকাশ করল কমিশন। জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল, সোমবার অবধি মোট ৮ কোটি নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে। মাদক, দামি ধাতু, মদের মতো সামগ্রী মিলিয়ে তা মোট দাঁড়িয়েছে ১৬৯ কোটি টাকায়। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রথম দিন থেকেই সক্রিয় কমিশন। করা হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নগদ, মাদক, দামি ধাতু। মূলত এই কাজটি করে থাকে ইডি, আয়কর দফতর, রাজ্য পুলিশ, সিবিআই-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনী, তদন্তকারী সংস্থা। কোনওভাবেই এই সমস্ত কিছু যাতে ভোট প্রভাবিত করতে না পারে সেটাই প্রধান লক্ষ্য।মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে ৩৬ কোটি ৯ লাখ টাকার মদ, ১৯ কোটি ০৪ লাখ টাকার মাদক, ২৮ কোটি ১৪ লাখ টাকার দামি ধাতু, ৮ কোটি ২২ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে।

    Lok Sabha Election 2024 : বুথে অশান্তি? এক ক্লিকেই মুশকিল আসান করবে নির্বাচন কমিশন

    নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য cVIGIL নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। সেই অ্যাপে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে কমিশন ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে। কমিশন জানিয়েছে, সেই অ্যাপে সোমবার পর্যন্ত ২৫৪৬ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২১৪৬ টি অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। ৩৫৯টি অভিযোগ খারিজ করেছে। ৪০টি অভিযোগ শোনা বাকি।

    ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায় ভোট রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কমিশন সব দিক থেকে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে। রবিবার উত্তরবঙ্গের ঝড়ে জলপাইগুড়ির যে ১১ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাও দ্রুত মেরামতি করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি CEO অফিসের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, গরম এবং ঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করতেও কমিশন সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। পাশাপাশি ভোটার এবং ভোট কর্মীদের যাতে গরমে খুব বেশি সমস্যা না হয়, সেজন্যও সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, 'সুষ্ঠভাবে ভোটের জন্য যা যা করার আমরা করছি। ২২ টি এজেন্সি একযোগে কাজ করছে। ১৬৯ কোটি অর্থমূল্যের (নগদ সহ) বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।'

    অন্যদিকে, এদিন CEO অফিসের দু'জন সিনিয়র অফিসারকে কমিশন সরিয়ে দেয়। এর মধ্যে এক অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক দীর্ঘদিন ধরে সিইও অফিসের কাজে যুক্ত।
  • Link to this news (এই সময়)